শিলং, ২ ডিসেম্বর : মেঘালয়ের ভারত-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সীমান্ত বেড়া সঠিক দিকে এগোচ্ছে, জানালেন বিএসএফ মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ইন্দ্রজিৎ সিং রানা।
তাঁর মতে, প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৫৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে রানা বলেন, তবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমানা বাঁধের কাজ শেষ করতে বাধা রয়েছে।
এখানে সময় নেবে এবং আমি নিশ্চিত যে সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। আশা করছি আমরা দ্রুত ট্র্যাকে জমি পাব বলেও জানালেন বিএসএফ আইজি।
তার মতে, ম্যানেজ করার জন্য সীমান্তে ফ্লাডলাইট এবং সিসিটিভি ক্যামেরা সহ সেন্সর দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ সম্পর্কে বিএসএফ আইজি বলেছেন যে, উত্তর-পূর্ব থেকে বিদ্রোহীদের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে তাদের ক্যাম্পের সঠিক পরিসংখ্যান বিএসএফ-এর কাছে নেই।
যখনই বিএসএফ রাজ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও বিবরণ পায়, সেই সময় অনুসরণ করার চেষ্টা করা হয়, তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো বলেছেন আইজি।
সাধারণত তারা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছ থেকে জঙ্গি শিবিরের তালিকা পাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে তথ্য ভাগ করে নেয়।
চোরাচালান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, বিএসএফ গত কয়েক মাসে ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। এই পণ্যের মধ্যে রয়েছে গবাদিপশু, মাদক ও মাদকদ্রব্য, স্বর্ণ ও অন্যান্য বিবিধ সামগ্রী।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ মেঘালয় সীমান্তে ৪.৯১ কোটি টাকার মোট ৩,০৮৮টি গবাদি পশু আটক করেছে, ১২.৪৭ লক্ষ টাকার মদের ৯,৪৪৮ বোতল, ১৫.০৪ লাখ টাকা মূল্যের ৭,৪৭১ বোতল ফেনসিডিল কাশির সিরাপ, ৩.৮০ লক্ষ টাকার গাঁজা, ৫১.৯০ লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৯.৪১ কোটি টাকার অন্যান্য বিবিধ আইটেম রয়েছে।
এছাড়াও, বিএসএফ ৮৭,৫০০ টাকার জাল ভারতীয় মুদ্রা জব্দ করেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের পবিত্রতা লঙ্ঘন করার সময় মোট ১২৩ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ৩০ জন রোহিঙ্গা, ৩২ জন বাংলাদেশি এবং ৬১ জন ভারতীয়।