অনলাইন ডেক্স, গণ আওয়াজ, শিলচর, ৬ ডিসেম্বর : গুজরাটের খেদা জেলার উন্ডেলা গ্রামের প্রায় ১,৪০০ মুসলিম ভোটার বেত্রাঘাতের প্রতিবাদে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট বয়কট করেছে বলে জানিয়েছে।
প্রায় দুই মাস আগে পুলিশ কর্তৃক মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু পুরুষকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। যদিয়ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, কোনও বয়কটের ডাক ছিল না।
অক্টোবরে খেদা জেলায় একটি গারবা অনুষ্ঠানে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের একটি গোষ্ঠী ঢিল ছুঁড়লে একজন পুলিশ সহ সাতজন আহত হন ৷
এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে দেখা গেছে, সন্দেহভাজন গ্রামবাসীদের সামনে দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে, যার ফলে হৈচৈ হয়েছে।
কিন্তু সোমবার মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন যে মাতার তালুকে অবস্থিত উন্ডেলা গ্রামের মোট ৩,৭০০ ভোটারের মধ্যে ১,৪০০ মুসলিম ভোটাররা দ্বিতীয় পর্বে রাজ্যের ৯৩ টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণের সময় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।
জনসাধারণকে বেত্রাঘাতকারী দোষীদের শাস্তি দিতে প্রশাসনের অস্বীকৃতির প্রতিবাদ হিসাবে গ্রামের সমস্ত মুসলিম ভোটাররা ভোটদান প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিলেন স্থানীয় মুসলিম নেতা মকবুল সাইয়্যাদ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের একতরফা পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করতে আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোনও পুলিশ সদস্যকে তাদের অপকর্মের জন্য বরখাস্ত করা হয়নি বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে, খেদা জেলার কালেক্টর কে এল বাচানি স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে কোনও ভোট বয়কটের ডাক ছিল না।
রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট অনুযায়ী এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এ ধরনের কোনো সমস্যা নিয়ে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তিনি বলেন, আমাদের রেকর্ড অনুসারে ৪৩ শতাংশ ভোটার উন্ডেলায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।