কাটিগড়া, ১০ ডিসেম্বর : মেঘালয়ের কয়লা সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বরাকের। মেঘালয় উচ্চ-আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়লার পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চক্র।
বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক তিনটায় চালান বিহীন অবৈধ কয়লা বুঝাই এমএল১১-৫৪৬১ নম্বর, এএস১১বিসি-২১৪৫ নম্বর এবং এনএল০১-এএফ-৪৪৭৭ নম্বরের লরি সহ আরও দুটি ওভারলোডেড কয়লা বুঝাই লরিকে কাটিগড়া চৌরঙ্গীতে পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে আটক দেয়।
লরিগুলো কয়লা নিয়ে শিলচরের উদ্দেশ্যে ৬ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল।
দীর্ঘক্ষণ লরিগুলো জাতীয় সড়কের পাশে চালান ও বৈধ নথিপত্র বিহীন অবৈধ্য কয়লা বুঝাই লরিগুল দাঁড় করিয়ে রাখে পুলিশ এবং চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর সময় রহস্যজনক ফোন আসলে লরিগুলো ছেড় দেওয়া হয়।
প্রত্যক্য দর্শীদের সন্দেহ পুলিশের কোন বড় কর্তার ফোন ছিল।
এদিকে একটি লরির ‘বায়ে’ নামক খাসি সম্প্রদায়ের চালক সংবাদ মাধ্যমের কাছে তার লরিতে বুঝাই করা কয়লার চালান বা বৈধ নথিপত্র না থাকার কথা জানিয়ে সেটিং এর মাধ্যমে মেঘালয়ের লুমসোলুম থেকে শিলচরের রামনগরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ফোন এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে চালকের সেটিং-এর বয়ানে বরাক জুড়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দিগরখালে চেক পোস্ট, গুমড়া পুলিশ ফাঁড়ি এবং কালাইনে পুলিশ থানা থাকার পরও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ীগুলো কাটিগড়া চৌরঙ্গী পর্যন্ত পৌছার পর আটক, চালকের সেটিং-এর স্বীকার করা ও অদৃশ্য ফোনকলের পর ছেড়ে দেওয়া সাধারণ মানুষ সহজভাবে মেনে নিতে পেরছেন না।