ক্রীড়া সংবাদ, ৭ জানুয়ারী: ২০২২ সালে টিম ইন্ডিয়াতে অনেক বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বে।
২০২১ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব নেওয়ার পর রোহিত শর্মাকে টেস্টে ও টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্ব হস্তান্তর করা হয়েছিল।
যদিও ক্যাপ্টেন কপিল দেব যিনি ভারতকে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি রোহিতের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রোহিত প্রতিটি ফরম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে মেন ইন ব্ল ৬৮ টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে এবং ৪২টি টি-টোয়েন্টি।
এই ৬৮টির মধ্যে রোহিত অংশ নিয়েছেন মাত্র ৩৯টি ম্যাচে। এই সময়ের মধ্যে রোহিত মাত্র দুটি টেস্ট, আটটি ওয়ানডে এবং ২৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
অর্থাৎ টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মাত্র ৫৭ শতাংশ ম্যাচ খেলেছেন।
এর আগে টিম ইন্ডিয়ার কোনো অধিনায়ক এত ম্যাচ মিস করেননি। সমস্যা হল এই সময়ে রোহিতের ফর্মও ভাল ছিল না। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোহিতের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব।
কপিল বলেছেন যে তিনি টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের ফিটনেসের উপর আস্থা রাখেন না। এবিপি নিউজের সাথে আলাপকালে কপিল দেব বলেছেন রোহিত শর্মার কোনো ঘাটতি নেই।
তার সবকিছু আছে, কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি তার ফিটনেস একটি বড় প্রশ্ন। তারা কি যথেষ্ট ফিট? একজন অধিনায়কের উচিত অন্য খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করা। সতীর্থদের তাদের অধিনায়ককে নিয়ে গর্ব করা উচিত।
কপিল বিশ্বাস করেন যে রোহিত যদি তার ফিটনেস নিয়ে কাজ করে এবং এটির উন্নতি করে তবে অন্যান্য ভারতীয় ক্রিকেটাররাও অনুপ্রেরণা পাবেন।
কপিল আত্ম বিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে রোহিতের ফিটনেস নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন আছে। রোহিত অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে তিনি রান করেননি এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
আমি এটার সাথে একমত. তবে তার ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তিনি একজন আশ্চর্যজনক ক্রিকেটার এবং সফলও হয়েছেন। তিনি যদি ফিট হয়ে যান তাহলে তাকে ঘিরে পুরো দল গড়ে উঠতে পারে।
কপিল আরও বলেছিলেন যে টিম ইন্ডিয়ার তরুণ খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নেওয়া উচিত এবং বিশ্বকাপ জেতার পুরো দায়িত্ব রোহিত বা বিরাট কোহলির উপর থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চোট পান রোহিত। তারপর থেকে তিনি বাইরে।