লাহোর, ১২ জানুয়ারি : পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় খাইবার পাখতুনখোয়াতে এবার আলেমরা নিন্দা করে ফতোয়া (ধর্মীয় আদেশ) জারি করেছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠার কারণে এই পদক্ষেপ নিয় সেদেশের আলেমরা।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে অবস্থিত নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান টিটিপি নেতাদের দ্বারা পরিকল্পিত ও পরিচালিত বলে বিশ্বাস করা হয়।
টিটিপি হল যার আফগান তালেবানের সাথে আদর্শিক সম্পর্ক রয়েছে, তারা গত বছর ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে দেশটিতে।
যার বেশিরভাগই আগস্টের পরে হয়েছিল যখন পাকিস্তান সরকারের সাথে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হতে শুরু করে। গত বছরের ২৮ নভেম্বর টিটিপি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শেষ করে।
আলেমদের ১৪ পৃষ্ঠার ফতোয়ার অনুলিপির উল্লেখ করে ডন ডট কম বলেছে, মাওলানা ক্বারি এহসানুল হক, মুফতি সুবহানাল্লাহ জান, ডক্টর মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা হুসেন আহমেদ, মাওলানা সহ ভিন্ন মতবাদের ১৬ জন ধর্মীয় পণ্ডিত স্বাক্ষর করেছেন।
ডক্টর আব্দুল নাসির, মুফতি মুখতারুল্লাহ হাক্কানী, মাওলানা তৈয়্যব কোরেশী, মাওলানা সালমানুল হক হাক্কানী, মাওলানা রহমাতুল্লাহ কাদরী, মাওলানা উমর বিন আব্দুল আজিজ, আল্লামা আবিদ হুসাইন শাকরী, মুফতি মায়রাজুল দীন সারকানী, মুফতি রজা মোহাম্মদ হাক্কানী, মুফতি খালিদ উসমানী, মুফতি খালিদ উসমানী ও মুফতি মাওলানা আব্দুল করিম।
কেপি প্রধান খতিব মাওলানা তৈয়ব কোরেশিও স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে একজন বলেছেন, ওলামারা জিহাদ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ফতোয়া জারি করেছেন।
তিনি বলেছেন সম্প্রতি কিছু তথাকথিত উলামা ইসলামকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, তাই এরপর ফতোয়া জারি করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে গেল।
ডিক্রিতে, আলেমরা একটি ইসলামী রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা ছড়ানোর নিন্দা করেছেন।
তারা যারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং অস্ত্র তুলেছে, তাদেরকে শাস্তির যোগ্য অপরাধী বলে অভিহিত করেছে।
ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তির জিহাদ ঘোষণা করার অধিকার নেই এবং এটি শুধুমাত্র একটি ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান দ্বারা ঘোষণা করা যেতে পারে। এটি আরও বলেছে যে যুদ্ধের সময় শত্রুর হাতে নিহত একজন সৈনিক বা পুলিশ কর্মকর্তা একজন শহীদ, তাই তার শাহাদাতে কোন সন্দেহ নেই।