ভোটের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, বিধায়ক বিজয় মালাকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ!!
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ৫ ফেব্রুয়ারি : করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি বিধানসভার পাঠাখাউরি জিপির ৫ নং ওয়ার্ডের তেরাছড়া গ্রামের ৩০ টি পরিবার আজও বিদ্যুৎ,পানীয় জল, এমনকি যোগাযোগের রাস্তা থেকে বঞ্চিত।
বিশেষ করে বর্ষার সময় এই গ্রামের মানুশদেরকে ঘরে বসে একমাত্র ঠাকুরের উপর ভরসা করে দিন যাপন করতে হয়।
ধারে কাছে সরকারি বা বেসরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের নিভিয়া গিয়ে পড়শুনা করতে হয় বলেও জানিয়েছেন গ্রামের বসবাসকারী মানুষ।
রবিবার তাদের এই করুন ছবি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের নিয়ে যান, বলেন মেধাবী ছাত্রছাত্রী থাকলেও যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকার কারনে এলাকায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
এদিকে এলাকায় আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ না পৌঁছানোয় এবং বর্তমান বিজেপি সরকার কেরোসিনের মুল্যবৃদ্ধি করার কারনে খোলা বাজারে না মেলায় ১২০ টাকা করে ডিজেল ক্রয় করে রাত্রি যাপন করছেন বলে জানান তারা।
কিন্তু তাতও বাজারে সব সময় না মেলায় অন্ধকারের হাতছানিতে রাত কাটাতে হয় বলেও অভিযোগ করছেন গ্রামের জনসাধারণ।
ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য রাতাবাড়ির বিধায়ক মালাকারের সঙ্গে তারা অনেকবার সাক্ষাৎ করেছেন।
তাকে গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিধায়ক শুধু অশ্বাসের ফুলঝুড়ি দিয়েই দিনের পর দিন অতিবাহিত করছেন।
এমনকি বিগত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে ভোট ভিক্ষা চাইতে গ্রামে এসে তেরাছড়া শিব মন্দিরে একটি সোলার লাইট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন না করার অভিযোগ করেন তারা।
বিজেপি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পানীয় জলসহ যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের মূল্যবান ভোট নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে, কিন্তু বাস্তবে তা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল দাবি করেন তারা।
তাই গ্রামবাসীরা বর্তমানে তাদের নিজেদের রোজগারের টাকা ব্যয় করে সড়ক নির্মাণ করছেন। তাদের অভিযোগ, করিগঞ্জের বর্তমান সাংসদ কৃপানাথ মালা বিধায়ক থাকাকালীন থেকে আজ পর্যন্ত তাদের গ্রামে পা মাড়াননি, একই পথ অবলম্ব করছেন বর্তমান বিধায়ক বিজয় মালাকারও।