শিলচর, ৭ জানুয়ারি : চড়া বেতনেও পেট ভরে না! অনৈতিকভাবে আরও টু পাইস চাই! এই অতি লোভের ফলই কাল হল। ঘুস নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন শিলচরের এক রেলকর্তা।
বড়সড় একটি ঘুসের মামলায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গুয়াহাটি এবং শিলচরে একযোগে অভিযান চালিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের দুই বরিষ্ঠ কর্তা ও এক ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিবিআইয়ের একটি দল ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রামপাল দে ও এনএফ রেলওয়ের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (এসএসই) সন্তোষ কুমার এবং গুয়াহাটিভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থার সজ্জন চৌধুরী নামের এক ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সোমবার এ-তথ্য জানানো হয়েছে।
এ-ঘটনায় এনএফ রেলের চার শীর্ষকর্তা, ঠিকাদার ও তার সংস্থার অন্য কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, এনএফ রেলের ওই দুই কর্তা এবং ঠিকাদার কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া সহ অন্যান্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
এতে রয়েছে বেসরকারি সংস্থার ঠিকাদারদের অযাচিত অনুগ্রহ দেখানোর মতো বিষয়ও, রয়েছে অনৈতিকভাবে বিল প্রদান ত্বরান্বিত করার মতো গুরুতর বিষয়।
ঘুস নিয়ে বেসরকারি সংস্থাকে অন্যায্য সুবিধা প্রদানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সিবিআইর একটি টিম জাল পাতে, আর তাতেই পা দিয়ে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীর থেকে আট লক্ষ টাকা ঘুস নেন শিলচরের এসএসই সন্তোষকুমার।
আর তখনই তাকে আটক করা হয়।
তবে শুধু অসমেই নয়, সিবিআইর পৃথক পৃথক টিম একযোগে ইম্ফল, দিল্লি, বিহার ও হরিয়ানা সহ দেশের ১৯টি স্থানে অভিযান চালায়।
এসব অভিযানে ১.০২ কোটি টাকা উদ্ধার করে সিবিআই।
এদিকে, ধৃত অভিযুক্তদের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রামপাল দে এবং ঠিকাদার সজ্জন চৌধুরীকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে এবং এসএসই সন্তোষকুমারকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক।