বাজেট ২০ লক্ষ টাকা
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২১ ফেব্রুয়ারি : বর্ষার মরশুম আসার আগে করিমগঞ্জে মাস্টার ড্রেনেজ পরিষ্কার করার কাজ চলছে।
গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুরসভার তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন পুরসভার সাফাই কর্মী এবং দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
বিভিন্ন এলাকায় থাকা মাস্টার ড্রেনেজ এবং ছোট নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর জন্য ২০ লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব, উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস।
পুরপতি বলেছেন, অল্প বৃষ্টিতে কৃত্রিম বন্যা হয় করিমগঞ্জ শহরে, তা থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে নালাগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে, যাতে জল সহজে বের হতে পারে।
তবে কতটুকু পরিত্রাণ দেওয়া সম্ভব হবে, সেটা সঠিক সময় আসলে বোঝা যাবে।
বর্ষা আসলে সামান্য বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন অলিগলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সড়কে জল উঠে পড়ে। অনেকের বাড়ি, ঘরে জল ঢুকে পড়ে।
গত বর্ষায়ও একই অবস্থা হয়েছিল শহরে। ছন্তরবাজারের ভিতর এতটাই জল হয়েছিল যে, অতীতে এমন অবস্থা হয়নি।
এক সপ্তাহের বেশি ধরে ছন্তরবাজার বন্ধ ছিল, নালা অপরিষ্কার এবং জল সঠিকভাবে কাটতে না পারার ফলে শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
এবার বর্ষা আসার আগে নালা পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগিয়েছে পুরসভা।
সম্প্রতি টেন্ডার আহ্বান করে নালা পরিষ্কার করার বরাত বন্টন করা হয়েছে ঠিকাদারদের। মাস্টার ড্রেনেজ পুরসভার তত্ত্বাবধানে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
গত চার দিন থেকে মাস্টার ড্রেনেজ এবং বিভিন্ন গলির নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। মাস্টার ড্রেনেজ-এর মধ্যে রয়েছে-বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে নটিয়াখাল, শিববাড়ি রোড থেকে বেবিল্যান্ডের গলি, বটরশির সরলখা থেকে শুরু হয়ে লঙ্গাই নদী।
মঙ্গলবার সকালে ঘাটলাইন এলাকা থেকে বোয়ালমারা খালের কাজ শুরু হয়েছে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা পুর কমিশনার নির্মল বণিকের উপস্থিতিতে।
এদিকে, মাস্টার ডেনেজ পরিষ্কার করার কাজ মঙ্গলবার পরিদর্শন করেন পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব এবং উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস।
সুভাষনগর, লঙ্গাই রোড, এনএনটিসির পাশের মাস্টার ড্রেনেজ, বোয়ালমারা খালের কাজ খতিয়ে দেখেন তারা। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন পুরপতি এবং উপ-পুরপতি।
পুরপতি বলেছেন, নালার মধ্যে মদের বোতল, পলিথিনের ছড়াছড়ি। এর ফলে পরিষ্কার করতে গিয়ে ভুগছেন সাফাই কর্মীরা।
কাজে সাহস পাচ্ছেন না সাফাই কর্মীরা। এর ফলে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জুতো (গামবুট) ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে।
জল সহজভাবে যাওয়ার জন্য নালার মধ্যে পলিথিন এবং কাঁচের বোতল না ফেলার জন্য শহরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান পুরপতি।
তিনি আরো বলেছেন, মাস্টার ড্রেনেজ নির্মাণ হওয়ার পর আগে কখনো গভীরভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। এবারই প্রথম মাস্টার ড্রেনেজ পুরো গভীরে গিয়ে ঢালাই পর্যন্ত পরিষ্কার করা হচ্ছে।
উপ-পুরপতি বলেছেন, শহরের ছয়টি খাল পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত আছেন মোট ২০ জন শ্রমিক। সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
আগামী দুই মাস এই কাজ চলবে। নালার মধ্যে আবর্জনা না ফেলার জন্য শহরের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।