নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : মিটিং, মিছিল, পুজো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর করের ফতোয়া জারী করে বেকায়দায় পড়েছে রাজ্যের হিমন্ত নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।
লোকসভার নির্বাচনের আগে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে স্টার কেম্পেইনার হিসাবে রেলিতে যোগ দিয়ে পাঁচশত টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার বেফাস মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনায় পড়েন হিমন্ত।
এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠে, তাহলে নিজের রাজ্যে যে মুখ্যমন্ত্রী বারোশ করে পার সিলিন্ডার নিয়েছেন, এটা কি তাহলে লোক ঠকানো?
এনিয়ে জনতার তুপের মুখে পড়ছেন বিজেপি কর্মী যারা নির্বাচনের সময় মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে ভোট ভিক্ষা করেন।
এবার মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং, মিছিল, পুজো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপরে করের ফরমান চরম বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছে বিজেপিকে।
বিজেপির অনেকেই প্রকাশ্যে না বললেও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসি কালচার বলেও তুলনা করছেন।
এদিকে বিডিএফও মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন সময় কাজের সমালোচনা করে আসছে।
এবার বিডিএফ মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে মিটিং, মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুজো, বিহু ইত্যাদির উপর কর চাপিয়ে দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে।
সংগঠনের মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়, মুখ্যমন্ত্রীকে ভারত একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্র স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, এখানে বাক স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত।
তিনি বলেন, সীমাহীন দুর্নীতির নায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এখন প্রকারান্তরে নাগরিকদের সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন।
দত্তরায় বিহু কমিটিকে একলক্ষ থেকে বাড়িয়ে দেড়লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাঙালির জাতীয় উৎসব দূর্গাপুজোয় দশ হাজার টাকা হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন সরকার যদি সব জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হয় তবে দুর্গাপূজায় অন্ততঃ পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া উচিত ছিল।