হায়দ্রাবাদ, ২০ সেপ্টেম্বর : অ-বিজেপি রাজ্যের সরকার ভাঙ্গাগড়া নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগে বেশ কিছুদিন থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এই অভিযোগ ওঠে মহারাষ্ট্রের উদ্বব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ভেঙ্গে সেনার একাংশকে নিয়ে বিজেপি জোট সরকার গঠনের পর থেকে।
এবার এই সমালোচনাকে আরও উস্কে দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় কুমার।
সঞ্জয় কুমার সোমবার দাম্মাইগুডায় এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকেও নিশানা করে বলেন তেলঙ্গানা সরকার ভেন্টিলেশন-এ চলে গিয়েছে খুব দ্রুত সরকার ভেঙে যাবে।
ডাম্পিং ইয়ার্ড ইস্যু সহ দুর্নীতির একাধিক ইস্যু নিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সঞ্জয় কুমার কেসিআর নেতৃত্বাধীন রাজ্যের টিআরএস সরকার ভেন্টিলেশনে রয়েছে, খুব দ্রুত ভেঙে পড়ার ভবিষ্যৎ বাণী সমালোচনাকে উস্কে দেন।
তিনি বলেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড ইস্যু জনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে বিজেপি সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিচ্ছে, তাই পদযাত্রা শেষ করে আমি এখানে এসেছি।
সঞ্জয় কুমার বলেন মুখ্যমন্ত্রীর যদি কোনও দায়িত্ব থাকত, তবে তিনি এর দায়িত্ব নিতেন এবং এখানে আসতেন। মেডচল ডিপো নিয়ে বলেন এই ডিপো তেলেঙ্গানা সরকার বন্ধক রেখে সেখানে শপিং মল তৈরি করেছে, তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনারা টিআরএসকে ধরে ডাম্পিং ইয়ার্ডের সামনে বেঁধে রাখুন এবং বিজেপির হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।
সমস্যার সমাধান আমরা করব। রাজ্যের যেসব কালেক্টর ও পুলিশ আধিকারিকরা কেসিআরের সঙ্গে আম্বেদকরের তুলনা করছেন, তাদের সমালোচনা করে বলেন এদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ কেসিআর এমন এক ব্যক্তি যিনি প্রতিনিয়ত আম্বেদকরের লেখা সংবিধানকে অসম্মান করছেন।
বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় কুমার কেসিআর পরিবারকে আক্রমন করে বলেন, এই পরিবারের অনেক অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে, বদুপ্পাল ৭ হাজারটি ফ্ল্যাটের কোনও রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
এই এলাকায় কোনও ১০০ শয্যার হাসপাতাল বা ডিগ্রি কলেজ নেই, জমি হাতিয়ে নিয়েছে কেসিআর পরিবার।
কেন্দ্রীয় সরকারে দেওয়া টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, কমিশনের লোভে অকারণে ট্র্যাক্টর কিনে কয়েকশো কোটি টাকা আয় করেছেন তাঁরা।
দলিতদের নিয়েও টিআরএস নেতাকে নিশানা করেন সঞ্জয় কুমার, তাঁর দাবি কেসিআর সরকার দলিতদের জন্য কোনও কিছুই করেনি। বিজেপিকে একবার সুযোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সঞ্জয় কুমার।