রূপক নাথ, ২৫ সেপ্টেম্বর : মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবীপক্ষের শুরু । হিন্দুধর্ম মতে, পিতৃপক্ষ পূর্বপূরুষের তর্পণাদির জন্য এক বিশেষ পক্ষ।
জীবিত ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন। এই লোকস্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত পরবর্তী প্রজন্মের একজনের মৃত্যু হলে পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন করেন।
ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। আসল দূর্গাপূজা হলো বসন্তে, সেটাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়।
শ্রীরামচন্দ্র অকালে-অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পূজাকে দেবীর অকাল-বোধন বলা হয় ।
হিন্দু ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে, বিবাহ করতে গেলে প্রয়াতদের উদ্দেশ্যে অথবা যাদের পিতা-মাতা নেই তাদের পিতা-মাতার জন্য সমগ্র জীব-জগতের জন্য তর্পণ করতে হয়। যেটা তর্পণ করা নামে পরিচিত।
ভগবান রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের আগে এদিনে এমনই করেছিলেন। সেই অনুসারে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরন করেন, পূর্বপূরুষের আত্নার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন।
সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্নাদের মর্তে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্নার যে সমাবেশ হয় তাহাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া।
অর্থাৎ একটা বিশেষ ক্ষণ যখন পিতৃপুরুষরা মর্তে আসেন তাদের উত্তরপুরুষদের হাতে জলগ্রহণ করতে। মহালয়ার পরেই অমাবস্যা পড়ে। পিতৃপক্ষেরও এটি শেষদিন। এই দিনেই দেবীর চহ্মুদান করা হয়। এইদিনটা এলো মানে পুজো এসে গেছে… “জাগো দুর্গা “।