নতুনদিল্লী, ১৯ ফেব্রুয়ারি : দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় সিবিআই উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, সিসোদিয়া ১৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত স্থগিত করার অনুরোধ করেন।
সিবিআই এখন ফের সমন জারি করবে। কিন্তু মণীশ সিসোদিয়া দাবি করেছিলেন তাঁকে আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
সিসোদিয়া বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে আজ বিজেপি তাকে গ্রেপ্তার করবে।
তবে আজ তকের সাথে কথোপকথনে সিসোদিয়া বলেছেন, তিনি গ্রেপ্তারের ভয় পান না বা প্রশ্ন থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না।
বিজেপি যদি প্রতিশোধ নিতে চায় তবে তা নাও, কিন্তু দিল্লির জনগণের বাজেট লাইনচ্যুত করার মূল্যে এই প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়।
আসলে তদন্ত পিছিয়ে দিতে সিবিআইকে সিসোদিয়া যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে তিনি নিজেই বাজেটের উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন যে দিল্লির বাজেট তৈরিতে ব্যস্ত, তাই তদন্ত ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা উচিত।
দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় চার্জশিট দাখিলের তিন মাস পর সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই।
সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নাম ছিল না যদিও, অভিযুক্তদের মধ্যে আপ যোগাযোগ প্রধান এবং সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ বিজয় নায়ারের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে ইডি চার্জশিট দাখিল করে, তাতেও উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার নাম ছিল না।
একদিন আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিসোদিয়া টুইটারে লিখেছিলেন যে সিবিআই আগামীকাল আবার ফোন করেছে।
সিসোদিয়ার মতে, কেন্দ্রীয় সরকার তার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি-র সম্পূর্ণ ক্ষমতা মোতায়েন করেছে।
গত মাসের ১৪ তারিখ সিসোদিয়া বলেছিলেন, সিবিআইয়ের একটি দল তাঁর অফিসে পৌঁছেছে, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি এবং পাওয়া যাবে না কারণ তিনি কোনও ভুল করেননি।
একই সময়ে সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র কিছু নথি সংগ্রহ করতে সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল, কোনো অভিযান হয়নি।
সিবিআই দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়নে কথিত কেলেঙ্কারির বিষয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়।
এলজি ভি কে সাক্সেনার নির্দেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এলজি ২০২১ সালে দিল্লি সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত নতুন আবগারি নীতির বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কোভিড মহামারীর অজুহাতে লাইসেন্স প্রদানে নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর ফলে মদ ঠিকাদারদের ১৪৪ কোটি টাকা মাফ হয়েছে। মদের লাইসেন্স দিতে কমিশন নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু মনীশ সিসোদিয়া সেই সময় আবগারি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগের উত্তাপ উঠেছিল।