তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরার প্রসিদ্ধ এলাচ লেবুর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে ত্রিপুরায়। রাজ্য এবং বহিরাজ্যের ভোজন রসিকদের কাছে এলাচ লেবুর বিশেষ কদর রয়েছে।
কিন্তু উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায় রাজ্য এবং বহিরাজ্যের বাজার গুলিতে এলাচ লেবুর আমদানি কম। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে এলাচ লেবুর দাম।
এর নেপথ্যে অনেক আনুষাঙ্গিক কারণ রয়েছে। লেবু চাষিরা ইদানিংকালে লেবু চাষের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
কারণ এই চাষাবাদের জন্য যেমন জলের প্রয়োজন তেমনি বিভিন্ন সার এবং কীটনাশক ঔষধেরও প্রয়োজন।
সেটা মূলত কৃষকরা বা লেবু চাষিরা সরকারিভাবে পাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য যে, ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়ার হাওয়াই বাড়ি, পশ্চিম হাওয়াই বাড়ি, পূর্ব হাওয়াই বাড়ি, বড় লুঙ্গা, তারাচাঁদ রুপিনি পাড়া, কুকি কলোনি সহ এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে লেবু চাষিরা টিলা ভূমিতে লেবু চাষাবাদ শুরু করেছিলেন বহু আগে থেকেই।
কিন্তু বর্তমানে লেবু চাষিরা লেবু চাষাবাদের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
কারণ জলের সমস্যা এবং সরকারিভাবে তারা কোন কীটনাশক ঔষধপত্র পায় না বলে অভিযোগ লেবু চাষীদের।
যার কারনে, লেবুর উৎপাদন অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন বাজার গুলিতে এই সুগন্ধি এলাচ লেবুর দাম লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও বর্তমানে লেবুর অফ সিজন চলছে, কিন্তু সবে মাত্র লেবু ফুলের কুঁড়ি মেলেছে। এছাড়া এ বছর লেবু গাছগুলিতে ফুল কম এসেছে। তাই লেবু চাষিরা অনেকটা হতাশ।
ফলে ওই সকল লেবু চাষিরা বর্তমানে লেবু চাষ না করে সুপারি চাষাবাদে মনোযোগী হয়ে উঠেছে, যার ফলে লেবু চাষাবাদে ব্যাঘাত করছে। ফলে বাজারে ও লেবুর আমদানি কম।
এদিকে এক লেবু চাষী লেবু চাষাবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে একটি লেবু পাইকারিভাবে বিক্রি হয় ৮ টাকা।
কিন্তু লেবুর সিজনে লেবুর দাম অনেকটাই স্বাভাবিক থাকে। মূলত উনার বক্তব্যে পরিষ্কার, একদিকে লেবু গাছ গুলির বয়স হয়ে গেছে অন্যদিকে এই চাষাবাদে তারা সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা থাকলে বঞ্চিত।
বর্তমানে ওই সকল লেবু চাষিরা সুপারি চাষাবাদে মনোযোগী হয়ে উঠেছে।