বিশাল মেগামার্টে কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কৃষি বিভাগ
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : স্ট্রবেরি ক্ষেত করে বর্তমানে পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন নারীখলি গ্রামের আব্দুল রশিদ।
গতবছরের পর এবারও এই ক্ষেত করেছেন তিনি।
এবছর প্রত্যাশা অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ স্ট্রবেরি উৎপাদন হয়েছে। ফলে বিশাল মেগামার্টে একটি কাউন্টার বসিয়ে স্ট্রবেরি বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এতে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা, অন্যদিকে করিমগঞ্জবাসী তাজা সামগ্রী পেতে সক্ষম হচ্ছেন।
জেলা কৃষি আধিকারিক পঙ্কজকুমার মজুমদার শুক্রবার এই প্রতিবেদককে বলেছেন, স্ট্রবেরি ব্যবসার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে করিমগঞ্জে।
জেলায় অনেক কৃষক স্ট্রবেরি ক্ষেত করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। অন্য উৎসাহী কৃষকরা এগিয়ে আসলে বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
এবার জেলায় মোট ৪১ হাজার স্ট্রবেরির চারা কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
করিমগঞ্জে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্রবেরি ক্ষেত করে সফল হোন কয়েকজন। এরপর পেশাগতভাবে সেটাকে কাজে লাগিয়ে মাঠে নামেন হাতেগোনা কয়েকজন কৃষক।
আনসার আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ গত বছর নিজের জমিতে স্ট্রবেরি ক্ষেত করেন।
প্রথম বছর কম হলেও তার উৎপাদন মোটামুটি হয়। ফলে উৎসাহ পেয়ে এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবারও স্ট্রবেরি ক্ষেত করেন রশিদ।
গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি পরিমাণে স্ট্রবেরি উৎপাদন হয় তার। সেগুলি বিক্রির ব্যবস্থা করে দিতে রশিদ কৃষি বিভাগের দ্বারস্থ হন।
পরে বিভাগের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অনুমোদনের ভিত্তিতে বিশাল মেগামার্টে স্ট্রবেরি বিক্রি করার জন্য একটি কাউন্টার বসানো হয়।
এছাড়াও নিজস্ব উদ্যোগে অন্যত্র স্ট্রবেরি বিক্রি করছেন রশিদ।
আব্দুল রশিদ বলেছেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। স্ট্রবেরির চারা এবং অন্যান্য বীজ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।
সার এবং অন্যান্য সামগ্রীও সাহায্য করা হয়ছে বিভাগের পক্ষ থেকে।
তবে এগুলি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন না আধিকারিকরা। বাড়িতে এসেও খোঁজখবর নেন।
এবছর স্ট্রবেরি উৎপাদন হওয়ার পর সেগুলি বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জেলা কৃষি আধিকারিক। বিশাল মেগামার্টে বিক্রি করার কাউন্টার রয়েছে।
গ্রাহকদের চাহিদা দেখতে প্রতিদিনই এসে খোঁজখবর নেন কৃষি আধিকারিকরা।
কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হয় স্ট্রবেরি। গ্রাহকদের যথেষ্ট পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আগামী বছর উৎপাদন আরও বেশি পরিমাণে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রশিদ।