পূজা কমিটি ও তদারক কমিটির বিবাদ চরমে
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ২৫ ফেব্রয়ারী : রাতাবাড়ি বিধান সভার দুল্লভছড়া মডেল কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবেশ মুখে হিন্দি ভাষাবাসীর লোকেদের ১৯০৩ সালে স্থাপিত শ্রীশ্রী রাম জানকী মন্দিরের ১২.৩০ বিঘা জমি নিয়ে মুখ খুললেন তদারকি কমিটির সদস্যরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুল্লভছড়া জিপি কায্যালয়ের কমিটি হলে সাংবাদিকদের কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, স্থানীয় ধর্মপ্রান ভক্তদের ভুমিদানে বৃটিশ শাসন কালে মন্দিরটি স্থাপন করা হয়েছিল।
কিন্ত মন্দিরের সেবায়েতরা অনৈতিকভাবে আজ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ ভুমি বিক্রয় করেছেন।
তারা বলেছেন, বতর্মান পুজা কমিটির সদস্যরা ১৩ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সন্মেলন করে সমাজ সেবী শ্যামধর দূবের বিরুদ্ধে মন্দিরের জমি বেদখলের অভিযোগ আনেন।
কিন্ত এদিন যারা সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাদের অনেকেই মন্দিরের জমি রক্ষনা বেক্ষন করা সেবায়কদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে ক্রয় করে অট্রালিকা নির্মান করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দান করা ভূমি বিক্রয় করার অধিকার না থাকা সত্বেও সেবায়িতরা মন্দির মেরামতের নাম করে নথিপত্র তৈরী করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
তবে, সেই সময়ের তদারকি কমিটি এবং পূজা কমিটির ভূমিকা কতটুকু স্বচ্ছ ছিল তা ভক্ত মহলে পরিস্কার বলেও জানান।
তারা বলেন, পুজা কমিটির সদস্যরা ব্যক্তি গত গ্রাজ মিটাতেই সমাজসেবীর নাম উল্লেখ করেছেন। তবে অন্যান্য দখলকারীদের নাম কেন? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সমাজ সেবী শ্যামধর দূবের বিরুদ্ধে মন্দিরের নামে চাঁদা আদায়ের আনা অভিযোগও খণ্ডন করেন।
তদারকির কমিটির সদস্যরা দাবী করেন, রাম জানকী মন্দিরের মেরামতিতে সাংসদ কৃপানাথ মালার বরাদ্দ কৃত অর্থেও তাদের অবদান রয়েছে।
মন্দিরের জমি উদ্বারে কমিটির সিদ্বান্তের পর তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান। সাংবাদিকদের সামনে মন্দিরের এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রাক্তন মন্দির কমিটির সম্পাদক দিবাকর রায়, সভাপতি শ্যামধর দুবে, উমা শঙ্কর বানিয়া, ড: পান্ড সহ অন্যান্যরা।