হাইলাকান্দি ২৫ ফেব্রুয়ারি : হাইলাকান্দি জেলার দাড়িয়া ঘাট, ঘাড়মুরায় এবং জামিরায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার তিনটি অর্থনৈতিক সবলীকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জনসাধারণকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আনতে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। সভা আয়োজন করা হয় তিনটি জিপির কার্যালয়ে।
হাইলাকান্দি জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর উদ্যোগে যে অর্থনৈতিক সবলীকরণ শিবির আয়োজন চলছে তার অঙ্গ হিসেব শুক্রবার এই তিনটি শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এই শিবির গুলিতে জনসাধারণকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সবলীকরণ যোজনার আওতায় আনার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হিসেবে হাইলাকান্দি জেলায় এই ধরনের অর্থনৈতিক সবলীকরণ যোজনা কার্যকর করা হচ্ছে।
এতে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, যেমন- জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা, অটল পেনশন যোজনা, স্বনিধি লোন, সেলফ হেল্প গ্রুপ গুলির লোন, আধার কার্ড সংযুক্তিকরণএবং মুদ্রা যোজনার মত কর্মসূচির আওতায় জনসাধারণকে নিয়ে আসা হচ্ছে।
শুক্রবার ঘাড়মুরা জিপির শিবিরে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনায় ২৩ টি একাউন্ট, জীবনজ্যোতি বীমা যোজনার ৫০ টি একাউন্ট, অটল পেনশন যোজনার ১২ টি একাউন্ট, আঁধারের ২৭৩ টি এবং আয়ুষ্মান ভারত কার্ড এর ২১টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
অনুরূপভাবে দাড়িয়াঘাট জিপিতে আধার কার্ডের ২০১ টি, অটল পেনশন যোজনার ১২ টি, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি বীমা যোজনা ১৫ টি একাউন্ট করা হয়।
জামিরা জিপিতে আধারের ৪৫ টি, আয়ুষ্মান ভারতের ২৬ টি, জন ধন যোজনার ২৬ টি, জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার ১৩৮টি, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার ১৫১টি, অটল পেনশন যোজনার ১০টি কার্ড চালু করে দেওয়া হয়।
এছাড়া হাইলাকান্দি জেলার মোট ৬২টি জিপির সব কয়টিতে আগামী ছয় মাসে একটি করে অনুরূপ শিবির অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ২০২০ সালে ডিপার্টমেন্ট অফ ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসে উদ্যোগে দেশের ৪০ টি জেলায় এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়।
২০২১ সালে ১১২ টি জেলায় এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
২০২৩ সালে হাইলাকান্দিতে অনুরূপ অর্থনৈতিক সবলীকরণ যোজনা চালু করা হয়েছে। আগামী ছয় মাস জেলাজুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।