গুয়াহাটি, ১৬ মার্চ : বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মিশন চালু করতে আসাম সরকার বৃহস্পতিবার ২০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ঘোষণা করেছে।
মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে হিমন্ত বলেছেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে একটি মিশনের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।
বাল্যবিবাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা ‘পকসো’ আইন, ২০১২ এবং বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ বিধানও আরোপ করা হবে।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য হিমন্ত সরকার যে মিশন চালু করতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, এরমধ্যে ২৪-ঘন্টার জন্য কল সেন্টার খোলা হবে এবং এনজিওর মাধ্যমে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ইতিবাচক পদক্ষেপকে সমর্থন করা হবে।
তিনি বলেছেন, এই বছরের বাজেটে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের সাথে কিছু গ্রেপ্তার শুরু করেছি এবং এটি ২০২৬ সালের মধ্যে আরও বাড়ানো হবে।
রাজ্যে যাতে একটিও বাল্য বিবাহ যাতে না হয় সেটা সরকার নিশ্চিত করবে বলেও দাবী করেছেন হিমন্ত।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম এবং মিশন আরও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।
এটি সাম্প্রদায়িক নয়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখতে চাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু আসাম বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা দেবব্রত সাইকিয়া মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বাল্যবিবাহ আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে পাঁচ শতাংশ, কিন্তু তা সত্ত্বেও পকসো আইন কার্যকর করা হবে!
আসাম সরকার বাল্যবিবাহের জন্য যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে আইপিসি ৩৭৬ ধারা ব্যবহার করেছিল, কিন্তু কোনও ভিকটিম বলেনি যে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে।
পকসো আইনের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে এবং বাস্তবতা আরোপ করেছে, কিন্তু সরকার বিষয়টিকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে এআইইউডিএফ বিধায়ক করিম উদ্দিন বারভুইয়া বলেছেন, আসাম সরকারের উচিত বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
করিম বলেন, আমরা সবাই মেনে নিই যে বাল্যবিবাহ হওয়া উচিত নয়, কিন্তু আসাম সরকার বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করছে।
বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আসাম সরকারের ব্যাপক ক্র্যাকডাউনে রাজ্য জুড়ে এ পর্যন্ত ৩০০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা এই ধরনের বিয়ের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের স্ত্রী ও স্বজনদের মধ্যে সরকারের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।