জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৫ মার্চ : শহরবাসীকে জমা জলের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সচেষ্ট হয়েছে করিমগঞ্জ পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন নালা এবং মাস্টার ড্রেনেজ পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে চানদিরবিল পর্যন্ত মাস্টার ড্রেনেজ পরিষ্কার করার কাজ শেষ পর্যায়ে।
এই কাজ শনিবার সম্ভবত শেষ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, পুরোদমে বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকার নালা এবং খাল পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস এবং পুরসভার আধিকারিক বিক্রম চাষা।
বর্ষার সময় বৃষ্টির জলে ডুবে যায় করিমগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা। নালাগুলি পরিষ্কার করা সত্ত্বেও গত বছরও একই অবস্থা হয়েছিল।
কোমর জল ছিল ছন্তরবাজারের ভিতরে। এ নিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দেয় শহরবাসীর। এবছর জনগণকে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করিমগঞ্জ পুরসভা।
বিভিন্ন নালা, মাস্টার ড্রেনেজ গত দেড় মাস থেকে পরিষ্কার করা চলছে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জল যাওয়ার সুবন্দোবস্ত করে দিতে নতুন করে নালা কাটা হয়েছে। ওই এলাকার নালাগুলি মাটি ফেলার কারনে ভরাট করা হয়ে গিয়েছিল।
ফলে এস্কেভেটর দিয়ে নালা কাটা হয়েছে।
সুভাষনগরের নিম্বার্ক আশ্রমের সামনা থেকে শুরু করে লঙ্গাই শ্মশান পর্যন্ত মাস্টার ড্রেনেজ শনিবার থেকে পরিষ্কার করানোর কাজে হাত লাগানো হবে।
বিজেপি কার্যালয় থেকে শুরু করে টিলাবাজার চানদিরবিল পর্যন্ত মাস্টার ড্রেনেজ পরিষ্কার প্রায় সমাপ্ত হয়ে গেছে।
এদিকে, শুক্রবার সকালে ব্রজেন্দ্র রোড, টিলাবাজার সহ বিভিন্ন এলাকার মাস্টার ড্রেনেজ পরিষ্কার করার কাজ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব।
বর্ষার মরশুম আসার আগে কাজ সমাপ্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মাস্টার ড্রেনেজ ছাড়াও চাঁদশ্রীকোনায় শহরের আবর্জনা ফেলার জন্য সড়ক নির্মাণের কাজ এবং শিলচর রোডে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার কাজ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরসভার আধিকারিক বিক্রম চাষা এবং উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস। বিক্রম চাষা বলেছেন, সংস্কারের কাজ চলছে, শেষ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
অন্যদিকে, উপ-পুরপতি সুখেন্দুশেখর দাস বলেছেন, প্রায় ৩০ জন শ্রমিক গত একমাসের বেশি সময় থেকে কাজ করছে। শেষ হতে আরো দেড় মাস সময় লাগবে।
কয়েকদিন যে বৃষ্টি হয়েছে, তখন রাস্তায় জল তেমন একটা জমেনি। তবে কিছু জায়গায় কালভার্টের সমান পিএইচইর পাইপ যাওয়ায় জল সঠিকভাবে কাটতে পারছে না।
এবছর শহরের জমা জল থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন সুখেন্দু। তবে তাঁর এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের কতটুকু মিল থাকবে, সেটা বোঝা যাবে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পর।