বার্ধক্যের কারনে কর্ম বিমুখ আবু আজ আজব পৃথিবীর বাসিন্দা মনে করছেন!!
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ৩১ মার্চ : রাতাবাড়ি বিধান সভার আনিপুরের রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুরামকে ১৯৯৫ সালে পুলিশ রিপোর্টে মৃত দেখানো হয়।
এরপর থেকে তিনি নিজেকে জীবিত না মৃত সেই রহস্য বেধ করতে শুরু করেন, বর্তমানে তিনি নিজের যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে সর্বহারা।
কিন্তু নিজেকে জীবিত না মৃত সেই রহস্য বেধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আজ তিনি নিজেকে আজব পৃথিবীর বাসিন্দা বলে মনে করছেন।
আবু দাসের এই করুন কাহিনীতে জানা যায় ১৯৮৮ সালে আনিপুরের ইউবিআই চরগোলা ব্রাঞ্চ থেকে শুকনো মাছের ব্যবসার জন্য দশ হাজার টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়েছিল।
কিন্ত ব্যাংক কতৃপক্ষ তাকে আট হাজার টাকা দেন। বাকী দুই হাজার টাকা না দেওয়ার কারনেই আজ পযর্ন্ত তাঁকে মৃত হয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
নিজের ঋণের প্রাপ্য দুই হাজার টাকার জন্য আবুরাম শাখার ম্যানেজার সঙ্গে উওপ্ত বাক্য বানে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাই শাখার ম্যানেজার ২০০৩ সালের ২০ অক্টোবর আবুর নামে রাতাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আবুরাম জামিনে মুক্ত হন। কিছু দিন পর নিজের মামলার খবর নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে।
পুলিশ রিপোর্ট-এ আবুরাম দাসকে মৃত দেখানোর ভিত্তিতে ২০০৩ সালের ২৭ অক্টোবর করিমগঞ্জ সাব ডিভিশন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বি বি ভট্টাচার্য্য মামলাটি ক্লোজ করে দেন।
কিন্তু আবু ন্যায় বিচার পেতে অনড়।
তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল, সোনিয়া গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী, এল কে আডবানী, সুপ্রিম কোটের মুখ্য ন্যায়ধীশ প্রমুখদের কাছে লিখিতভাবে ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নিজেকে জীবিত প্রমান করতে ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন বলে গণ আওাযকে জানান আবুরাম।
কিন্তু নিজেকে জীবিত প্রমান করতে ব্যর্থ।
বর্তমানে তিনি সর্বহারা।
সরকারি ন্যায মূল্যের চাল পাচ্ছেন, ভোটাধিকার রয়েছে, অথচ তার জীবিত থাকার কোন প্রমাণ নেই।
ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত থাকা আবু বার্ধক্যের কারনে কর্ম বিমুখ হয়ে পড়েছেন।
তাই রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাতাবাড়ি বিধায়ক বিজয় মালাকারের নিকট আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায় বিচার না থাকার জন্য আজ জীবিত অবস্থায়ও তাঁকে মৃত হয়ে থাকতে হচ্ছে!