ইটানগর : বুধবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি নেতাকে অপহরণ করার পর কোন হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবেনা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পবন কুমার সাইন-এর মন্তব্য সামনে এসেছে।
অরুণাচল পূর্ব লংডিং জেলার একই লোকসভা আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে বিজেপি নেতাকে অপহরনের পর সাইনে বক্তব্য আসে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইন-শৃঙ্খলা) চুখু আপা অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী কাজ করছে।
তবে এব্যাপারে লংডিং জেলা প্রশাসক বেকির নিওরাক এবং পুলিশ সুপার ডেকিও গুমজা কথা বলতে রাজি হননি।
উত্তর-পূর্ব রাজ্য অরুনাচলে দুটি লোকসভা আসন রয়েছে, ১৯ এপ্রিল এক সঙ্গে সংসদীয় এবং ৬০-সদস্যের বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এরমধ্যে, ক্ষমতাসীন বিজেপি ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দশটি আসনে জয়ী হয়েছে।
সিইও প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনার জন্য লংডিং এবং তিরাপের ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশ উচ্চ-পর্যায়ের নিরাপত্তা সভা আহ্বান করা হয়েছে।
আসাম রাইফেলস এবং অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে, সাইন বলেছেন।
নাগা বিদ্রোহীরা তিনটি পূর্বাঞ্চলীয় জেলা তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং-এ সক্রিয়। তারা অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত।
গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের বেশ কয়েকজন ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লংডিং-এ একজন প্রার্থী বিদ্রোহীদের ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, সাইন বলেন কোনও প্রার্থী এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকলে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর একটি বিশেষ প্লাটুন লংডিং পৌঁছেছে এবং ইতিমধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে।
সিএপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের প্রায় 13,176 জন কর্মী রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য মাঠে কাজ করছে জানিয়েছেন সিইও।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ৩৬টি আইনশৃঙ্খলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে যেখানে একজন মারা গেছে এবং ৩৩ জন আহত হয়েছে।
সাইন বলেছিলেন যে রাজ্যের মোট 2,226টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে 480টি স্পর্শকাতর, 588টি বুথ গুরুতর এবং 443টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।