শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণ নগর, ৬ এপ্রিল : দু’বছর আগে কদমতলা-মনাছড়া পূর্ত সড়কের কাজের দরপত্র আহ্বান করে সমঝে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে।
কিন্তু এরপরও ওই অতি গুরুত্বপূর্ন সড়কের কাজ শেষ করছে না ঠিকাদার সংস্থা পদ্মাবতী কনষ্ট্রাকশন।
এবছর শীতের মরশুমে মনাছড়া থেকে ঈশানছড়া চার কিলোমিটার অংশ ব্লেক টপিং করা হলেও ওই অংশের আরও কিছু জায়গা এখনও অসম্পূর্ণ রয়েগেছে।
এদিকে ঈশানছড়া থেকে কদমতলা অংশের কাজে এখনও হাত লাগায়নি ঠিকাদার সংস্থা।
গত দু’তিন দিনের কয়েক পশলা বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। শুকনোর সময় সড়কের উপর তৈরি হওয়া গর্তগুলি মাটি ভরাট ছিল।
তাই গাড়ি চলাচলে তেমন কষ্ট পাননি যাত্রীরা। কিন্তু কয়েক পশলা বৃষ্টিতে ভরাট থাকা গর্তগুলি থেকে মাটি সরে যাওয়ায় গাড়ির ঝাকুনিতে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন।
গত ক’দিন আগে রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার ওই পূর্ত সড়কের নিম্নমানের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেছিলেন।
তাই কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল, এরপর আবার শুরু হয়। এখন আবারও ঠিকাদার সংস্থা পদ্মাবতী কনষ্ট্রাকশন ঈশানছড়া থেকে কদমতলা পূর্ত সড়কের কাজ বন্ধ করে রাখায় অনেকেই প্রশ্ন তোলছেন কাজ আসন্ন বর্ষার আগে শেষ হবে কি না?
সরকার ওই পূর্ত সড়কের দশ কিলোমিটার অংশ নির্মানের জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এবং কাজের বরাত সমঝে দিলেও ঠিকাদার সংস্থা ঢিলেমি করে চলায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে রামকৃষ্ণনগর পূর্ত সংমণ্ডলের ওই কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকারী অভিযন্তা বানীব্রত চক্রবর্ত্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে বার-বার চাপ সৃষ্টি করছেন।
আবারও তিনি অনুরোধ জানাবেন যাতে কাজ দ্রুত শেষ করে ঠিকাদার।
সড়কটি রাতাবাড়ির সাথে শিলচর এবং হাইলাকান্দির যোগাযোগ রক্ষাকারী অতি গুরুত্বপূর্ন। ফলে শীঘ্রই শেষ করতে আবারও চাপ সৃষ্টি করবেন এমনটা জানান বিভাগীয় ওই কর্মী।
এদিকে ওই রুটে চলাচলকারী ছোট গাড়ির ড্রাইভার এবং অটো চালকরা জানান, বেহাল সড়কের জন্য তাঁদের গাড়ি-অটো ইত্যাদি বিকল হয়ে পড়ছে। এরপরও পেটের তাগিদে তাঁরা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।