হাইলাকান্দি, ৬ এপ্রিল: হাইলাকান্দি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার হাইলাকান্দিতে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির এপ্রিল মাসের সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
ডিডিসি এলডার্ড ফারহীনের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় যে ৬ এপ্রিল থেকে জেলার বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বন্টন শুরু হবে।
সভায় আরো জানানো হয় যে জেলার ২৪০২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৮৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পোষন ( মিড ডে মিল) খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হবে।
জেলায় পানীয় জলের সংযোগ না থাকা ৬১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মার্চ মাসে ২৫ টিতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং বাকি ২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিকটবর্তী পানীয় জল প্রকল্প থেকে সংযোগ দেওয়া হবে।
এছাড়া আরো ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন প্রকল্প নির্মাণ করে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।
মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন বিভাগ (সমাজ কল্যাণ) থেকে জানানো হয় জেলার ৬১৩ টি শিশুকে বয়স, উচ্চতা, ওজন এবং স্বাস্থ্যের নিরিখে অপুষ্টির শিকার অর্থাৎ সেম চিলড্রেন হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে দুইটি শিশুকে বিভাগীয় পুষ্টিআহার পুনর্বাসন কেন্দ্রের স্থানান্তর করা হয়েছে বিভাগের উদ্যোগে।
কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয় যে প্রধানমন্ত্রী কিষানের ৭৩ হাজার ১৯৭ টি একাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে।
এফসিআই এর মাধ্যমে জেলায় ৯৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এর জন্য জেলার ৩২৫ জন প্রগতিশীল চাষী নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
জেলা শিল্প বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয় যে প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন স্কিমের জন্য ১০৬ জনকে ২৩৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প ব্যাংক থেকে মঞ্জুরী দেওয়া হয়েছে।
পিএইচই থেকে জানানো হয়েছে জেলার এক লক্ষ ৬৯ হাজার ১৯৬ টি পানীয় জল সংযোগের মধ্যে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৮ টির কাজ গত অর্থ বছরে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে।
জল সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয় জেলার নদী বাঁধ গুলির মেরামতি এবং নির্মানের কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে।
এর মধ্যে কাটাখাল নদীর নন্দীগ্রাম বাধের কাজ ৯৫ শতাংশ, বর্নিবাস বাঁধের কাজ ৮৭ শতাংশ, ধলেশ্বরী রিংবাধের কাজ ৯৬ শতাংশ, চিরুনালার স্লূইচ ক্যালবার্ড ২৫ শতাংশ, নারাইনপুরের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধি কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ, বরইতলী বাধের কাজ ১৫ শতাংশ, বকরি হাওরে ৪০ শতাংশ, মহাদেব টিলা রূপচড়ায় বিশ শতাংশ কাজ এপর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জেলার সব বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সভাপতি ভাষণে ডিডিসি এলডার্ড ফারহীন সব বিভাগকে আসন্ন বর্ষা মরশুমের জন্য সম্ভাব্য বন্যার মোকাবিলায় বিভাগীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেন।