প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সুবোধ! কি করছে পুলিশ?
শিলচর (পিএন সি) ৮ এপ্রিল : বড়খলা ভাঙ্গার পার পুলিশ ফাঁড়ির অধীন ভাঙ্গার পার ১ম খন্ডের বাসিন্দা সুবোধ চন্দর বাড়িতে চুরিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসী।
দিন বিশেক আগে ৫ থেকে ৬ জনের একটি চোরের দল গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘরের মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসি তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়লে চোরের দল সেউতি গ্রাম অভিমুখে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গারপার পুলিশ ফাঁড়িতে সুবোধ চন্দ এজাহার দায়ের করেন, কিন্তু পুলিশের এখন পর্যন্ত কোন তৎপরতা তারা দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
এখানে উল্লেখ্য যে চোরের দল সেদিন যাওয়ার সময় বাড়ী মালিক সুবোধ বলে যায় আমরা আবারও একদিন আসবো।
যেমন কথা তেমন কাজ, বিশ দিন পার না হতেই ৪ এপ্রিল আবারও সেই চোরের দল সুবোধ চন্দের বাড়িতে রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার সময় হানা দেয়।
টের পেয়ে গৃহকর্ত্রী মোবাইল ফোনে প্রতিবেশীদের মধ্যে খবর পাঠান সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে পড়লে চোরের দল সেউতি গ্রাম অভিমুখে পালিয়ে যায়।
কিন্তু একই রাতে চোরের দল হানা দেয় গ্রামের নিখিল চন্দর ঘরে।
খবর অনুসারে রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় ঘরে প্রবেশ করে হাত পা বেঁধে ভাঙ্গারপার ব্যাংক থেকে তুলে আনা ১৫ হাজার টাকা তাদের দিতে বলে।
প্রাণের তাগিদে নিখিল ওই টাকা দিয়ে দেন।
এই চোরের দলের কাছে নিখিলের হাতে যে টাকা রয়েছে এবং তার ঘরের ছাদে সুপারি আছে সব তথ্য আগেই জানা ছিল।
তাই যাওয়ার সময় ছাদ থেকে এক বস্তা সুপারি ও নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির নিখিল।
এদিকে দু দুবার চুরি কান্ডের পর সুবোধ নিজের পরিবারের প্রাণ রক্ষার্থে পরদিনই তিনি বাড়ী ছেড়ে আত্মীয় স্বজনের কাছে চলে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পর পর চুরি কান্ডের তদন্ত করতে সরজমিন পরিদর্শন করে ভাঙ্গারপার ফাঁড়ির পুলিশ, যাওয়ার সময় চোরের দলকে শীঘ্রই গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশ।
এদিকে ভাঙ্গারপার-বাবুর বাজার সড়কে রাতের অন্ধকারে রশি টাঙ্গিয়ে লুটপাটের ৩ থেকে ৪ টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় এই সড়কে রাতে চলাচল করতে অনেকেই ভয় পান।
পূর্বে এই ধরনের লুটপাট শিলচর কালাইন সড়কে হতো এখন এই সড়ককে বেছে নেওয়ায় এই এলাকায় দুষ্কৃতীদের সংযোগ আছে বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক।
অনেকেই বলছেন এই চোরের দলের দ্বারা এসব হচ্ছে।
এব্যাপারে ভাঙ্গার পার পুলিশ ও গ্রাম রক্ষী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না বলে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে।