শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর, ৯ এপ্রিল : বর্ষার শুরুতেই এক ফসলা বৃষ্টিতে আনিপুর ৩৭হাল গ্রামের রাস্তার অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এই রাস্তাটি।
এতে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। এমজিএনরেগার নামে অর্থ বরাদ্দ করে হাফিস করার অভিযোগ রয়েছে আনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর।
বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা উদাসীন। বারবার আবেদন জানালেও লাভ হয়নি কিছুই। অবশেষে এবার বিধায়ক বিজয় মালাকারের হস্তক্ষেপ চাইলেন গ্রামের লোকেরা।
সরকার একদিকে গ্রামোন্নয়নের নামে নিত্য নতুন প্রকল্প ঘোষনা করে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ বরাদ্দ করছে।
অন্যদিকে দুর্নীতিপরায়ন প্রতিনিধি ও আমলাদের কারনে প্রকল্প বাস্তবে পরিণত হওয়ার আগেই উদাও হয়ে যাচ্ছে।
আনিপুর জিপির বিভিন্ন রাস্তাঘাটের বিপর্যস্ত অবস্থার জন্য সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা।
রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আনিপুর জিপিতে বেশকটি রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে ৩৭ হাল গ্রামের রাস্তাটি রয়েছে।
এই গ্রাম আনিপুর বাজারের পাশেই অবস্থিত। কিন্ত আজ পর্যন্ত নির্মিত হয়নি কোন পাকা সড়ক।
শুকনো মরশুমে যেমন তেমন অবস্থায় যাতায়াত করলেও বর্ষার শুরুতেই হাটুজল হয়ে পড়েছে।
যার ফলশ্রুতিতে কচিকাচা স্কুল পড়ুয়া ও রোগীদের যাতায়াতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে গণ আওাযকে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
গ্রামের জনগণ দীর্ঘ দিন ধরে ওই সড়কটি নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন লাভ হয়নি তাদের। বলেন, এমজিএনরেগা প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু ফলক বসিয়ে সামান্য পাথর ফেলে বাকি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
এমনটাই অভিযোগ উত্তাপণ করেন গ্রামবাসীরা।
এবিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এই নতুন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার আগে ইট সোলিং এর রাস্তা ছিল। সেসময় চলাচলে তেমন অসুবিধা ছিলনা।
কিন্তু নতুন প্রকল্প আসার পর ইটগুলো উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকেই সমস্যা চরমে পৌঁছে গিয়েছে।
এবার সড়কের জন্য অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে তাদের।
বর্ষার মরশুমে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য নূন্যতম পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে জনগনের ভোগান্তির অন্ত হবেনা বলে জানিয়েছেন তারা। তাই তারা এব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক বিজয় মালাকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।