গণ আওয়াজ অনলাইন ডেস্ক : ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় সহ দেশের তিনটি রাজ্য ফের সহিংসতার কবলে।
জামশেদপুরে মহাবীর পতাকার অপবিত্রতা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অন্যদিকে, হরিয়ানার সোনিপতে মন্দিরে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে।
এছাড়াও, ছত্তিশগড়ের বেমেতারা জেলায় এক হিন্দু যুবকের মৃত্যুর পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানটিকে বর্তমানে সেনানিবাসে পরিণত করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে, জামশেদপুর জেলার কদমা শাস্ত্রী নগর ব্লক-৩ মহাবীরির পতাকার অপবিত্রতাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবেশ খারাপ হওয়ার পর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহাবীর পতাকার অবমাননার জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে, একে অপরের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করে যার ফলে পদদলিত হয়।
দুষ্কৃতীরা দুটি দুচাকার গাড়িসহ পাঁচটি দোকানে আগুন দিয়েছে। এ সময় বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তিন রাউন্ড গুলিও করা হয়।
ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে বাতাসে গুলি করতে হয়। শাস্ত্রীনগর ব্লক-২ নম্বর মসজিদ ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।
হরিয়ানার সোনেপত জেলার সান্দাল কালান গ্রামেও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকের উপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে।
রাতে যখন লোকজন রমজানের নামাজ আদায় করছিলেন তখন এ হামলা চালানো হয়, উপাসকদের উপর ১৫ থেকে ২০ জন সশস্ত্র হামলাকারী হামলা করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অপরদিকে ছত্তিশগড়ের বেমেতারা জেলায় দুই শিশুর মধ্যে ছোটখাটো বিবাদের জের ধরে দুই সম্প্রদায়ের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এই সময় এক হিন্দু যুবককে হত্যা করা হয় এবং তার পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে, এতে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক আহত হয়েছেন।
পুলিশ গ্রামটিকে সেনানিবাসে পরিণত করেছে। আশপাশের জেলাগুলো থেকেও পুলিশ বাহিনীকে ডাকা হয়েছে। এই নিয়ে ভিএইচপি রাজ্যব্যাপী বনধ ডেকেছে।