রাঁচি, ১১ এপ্রিল : ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, পানির বোতল, পাথর নিক্ষেপ করেছে বিক্ষোভকারীরা।\
পুলিশও বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করছে, বিক্ষোভকারিদের ওপর পানি বর্ষণ করেছে। শহরের গোলচক্করের কাছে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের।
শ্রমিকরা ব্যারিকেডিংয়ে উঠেছিল যা পুলিশ বাহিনী থামানোর চেষ্টা করে।
বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের ফিরে যেতে প্রশাসন লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ক্রমাগত ঘোষণা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে ব্যারিকেডিং ভাঙার জন্য বিজেপির এক মহিলা কর্মিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিড় নিয়ন্ত্রণে জলকামান ব্যবহার করা হলেও নড়েনি বিজেপি কর্মীরা।
নগরীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে রওনা আসে।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করা হয়েছে, লাঠিচার্জ করা হয়েছে এমনকি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে।
কিন্তু জনতা দৃঢ় অবস্থানে থেকে পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে অবিরাম পাথর ছুড়ছে।
রঘুবর দাস জনসভায় পৌঁছেছেন
ধাক্কাধাক্কির সময় ঘটনাস্থলে থাকা এক সাংবাদিকের মাথাও ফেটে যায়। এই সবের মধ্যেই বিজেপি ধুরভা গোলচক্করের কাছে মাঠে সভা করেছে।
এর আগে প্রভাত তারা ময়দানে জনসভা করে বিজেপির লোকজন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস সমাবেশে পৌঁছে আহত বিক্ষোভকারীদের অবস্থার খোঁজখবর নেন।
আহত বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও ডেকেছেন তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানস্থল থেকে ক্রমাগত ঘোষণা দেয়া হয়, যত খুশি গুলি চালাও, যত খুশি জলকামান ব্যবহার কর, এই দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন ঘটাব।
এর সঙ্গে হেমন্ত সরকার হাই হাই, এটা পরিবারতন্ত্রের সরকার, হেমন্ত সরকার অকেজো স্লোগানও তোলা হয়।
শহরে বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
ইতিমধ্যে কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ৫০ জন বিজেপি নেতাকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন সাংসদ সঞ্জয় শেঠের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে।
পুলিশ রাঁচির সাংসদ সঞ্জয় শেঠ, বোকারোর বিধায়ক বিরাঞ্চি নারায়ণ, রাজ্যসভার সদস্য সমীর ওরাওঁ, বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি আরতি কুজুর, কে কে গুপ্তা সহ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।