নয়াদিল্লি, ১৪ এপ্রিল : মাফিয়া আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপের মধ্যে ইডিও তার কালো টাকার সাম্রাজ্যের স্তরগুলি উন্মোচনে ব্যস্ত।
আতিক আহমেদের আস্তানায় চালানো অভিযানে ইডি বেআইনি চাঁদাবাজি, কালো টাকা পাচারের জন্য শেল সংস্থাগুলির ব্যবহার এবং কৃষকদের জমি জোরপূর্বক দখলের গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে।
এই নথিগুলির মধ্যে ১০০টি বিক্রয় দলিলও রয়েছে।
ইডির সূত্র অনুসারে, আতিক আহমেদের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত বিক্রয় দলিলগুলি কৃষকদের হুমকি দিয়ে সস্তায় কেনা জমিগুলির।
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই কৃষকদের নাম এখনই প্রকাশ করছে না ইডি।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে শীঘ্রই কৃষকদের বিবৃতি রেকর্ড করার কাজ শুরু করা হবে, কেন তারা স্বল্প পরিমাণে তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল।
জোর করে জমি কেনার ঘটনা প্রমাণিত হলে ইডি এই জমিগুলি বাজেয়াপ্ত করতে পারে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে কৃষকদের কাছে ফেরত দিতে পারে।
জমি ব্যবসায় আতিক আহমেদের মাফিয়াদের বর্ণনা দিয়ে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের হুমকি দিয়ে তিনভাবে টাকা আদায় করা হয়।
কেউ নিজের পরিবারের সদস্য বা কিছু মুরগির নামে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে পরবর্তীতে চড়া দামে বিক্রি করতেন।
এমন অনেক জমি বিল্ডারদের কাছে বিক্রি করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কৃষকদের জমি নির্মাতাদের কাছে বিক্রির হুমকি দেওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, একটি প্রকল্পের জমি চিহ্নিত করার পর নির্মাতা আতিক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পরে আতিক আহমদ জমির মালিক কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিল্ডারকে বিক্রি করতে বাধ্য করত এবং এর জন্য মোটা অংকের টাকা আদায় করত।