নয়াদিল্লি, ১৫ এপ্রিল : তিহার জেলের ৩ নং বন্দীদের দুই দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে নিহত হলেন প্রিন্স তেওয়াতিয়া নামে এক আন্ডারট্রায়াল।
সংঘর্ষে চার বন্দিও আহত হয়েছেন।
ঘটনার তদন্ত করছে হরিনগর থানার পুলিশ। হেফাজতে হত্যা সংগঠিত হওয়ায় এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তও হবে।
কারা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রিন্স ও আতাউর রহমান নামের বন্দিরা ওয়ার্ডের সাধারণ এলাকায় তাদের ব্যারাকের বাইরে হাঁটাহাঁটি করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রিন্স প্রথমে আবদুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জবাবে আব্দুর রহমান যুবরাজকে আক্রমণ করতে থাকে।
হট্টগোল দেখে যুবরাজ ও আতাউর রহমানের দুই সঙ্গী সেখানে পৌঁছালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় কেউ সুচ ব্যবহার করে আবার কেউ ছুরি দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণ করে। কারাকর্মীরা সেখানে পৌঁছার পর বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যায়।
ঘটনায় গুরুতর আহত বন্দিদের তাৎক্ষণিক কারাগারের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে নিয়ে যান কারাকর্মীরা।
এখান থেকে সবাইকে ডিডিইউ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিন্সকে মৃত ঘোষণা করেন।
দিল্লি ক্যান্ট থানা এলাকায় একটি ফরচুনার গাড়ি ডাকাতির ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করেছিল।
প্রিন্স ডিসেম্বর মাসে তিহারে আসেন। যুবরাজ দক্ষিণ দিল্লি এলাকায় বেশ সক্রিয় ছিলেনএবং কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথেও যোগাযোগ করে।
সূত্র জানায়, গত অক্টোবর মাসে কোনো কোনো মামলায় প্রিন্সকে কারাগারে রাখা হয়, এ সময় তিনি কারাগারে হামলার শিকার হন।
যুবরাজ তেওয়াতিয়া অপরাধ জগতে নাম লেখাতে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছিল, নিজের গ্যাংও গড়ে তুলেছিল।
এই সময় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংস্পর্শে আসে, তারপরে তিনি অপরাধ জগতে তার মুদ্রা অর্জন করেন।
বড় গ্যাংস্টারের সঙ্গে হাত মেলানোর পর তার গ্যাংয়ের হুমকিও বেড়ে গিয়েছিল।
গত বছর দ্বারকায় এনকাউন্টারের পর পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করে, তখন তার কাছ থেকে অনেক আধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিশেষ সেল এনকাউন্টারের পরে প্রিন্স তেওয়াতিয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল।
২৩ অক্টোবর যুবরাজ মহিপালপুরে আসবে বলে খবর পায় পুলিশ এবং পরে স্পেশাল সেল তাকে ধরে ফেলে।
পুলিশ জানায়, এর আগে প্রিন্স চালক হিসেবে কাজ করত এবং তার বাবা একটি সরকারি বিভাগে মালী হিসেবে কাজ করতেন।
তার বাবার সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে যুবরাজ ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতারও করেছিল আম্বেদকর নগর পুলিশ। চার বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালে সে দল গঠন করে।