কর্ণাটক বিধানসভা নিরবাচন-২০২৩
কর্ণাটক, ১৯ এপ্রিল : কেরালার মিলমা কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমুল বনাম নন্দিনির লড়াইয়ে এখন নেমেছে এসেছে।
নন্দিনী তার ব্যবসা বাঁচাতে যখন আমুলের সাথে লড়াই করছে, একই ভাবে কেরালায় তার ব্যবসা ধ্বংস করছে।
অনেক সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। যে ভাবে এখন কর্ণাটক নির্বাচনের সময় আমুল এবং নন্দিনীর লড়াই চলছে।
আমুলের বেঙ্গালুরুর বাজারে প্রবেশ নিয়েই ঝগড়া শুরু হয়েছে। রাজ্যের মানুষ এটাকে দেশীয় ব্র্যান্ড নন্দিনীর জন্য হুমকি মনে করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট প্রবণতা নিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা রাজনৈতিক সমাবেশে পৌঁছেছে এবং এখন কেরালার মিলমা ব্র্যান্ডও এতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এমনটাই ঘটেছে যে কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশনের একটি ব্র্যান্ড নন্দিনী অনেক প্রতিবেশী রাজ্যেও তার পণ্য বিক্রি করে।
এর মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরালা।
এখন যখন কোম্পানিটি সম্প্রতি কেরালায় তার দুটি আউটলেট খুলেছে, তখন কেরালা কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন এতে আপত্তি জানিয়েছে।
কারণ কেরালার ফেডারেশনের নিজস্ব ব্র্যান্ড মিলমা রয়েছে।
আমুল ও নন্দিনীর লড়াইকে নিয়ে যখন রাজনীতি করা হয়, তখন নির্বাচনী পরিবেশে আলোচনা শুরু হয় যে গুজরাটের মানুষ কর্ণাটকে ভাঙতে চায়।
যেহেতু আমুল গুজরাটের সাথে সম্পর্কিত।
একই সময়ে, রাজ্যে ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করা বিজেপির দুই বড় নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও গুজরাটের সঙ্গে সম্পর্কিত।
অমিত শাহের হাতে রয়েছে সমবায় মন্ত্রকের দায়িত্বও।
এবার মিলমা একই কথা বলেছে। এক রাজ্যের দুধ সমবায়ের অন্য রাজ্যে সম্প্রসারণের প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিলমা।
কেরালার মিল্ক ফেডারেশন বলছে যে এটি ‘সমবায় আন্দোলনের’ চেতনাকে আঘাত করার একটি পদক্ষেপ।
যদিও সমবায় দেশের কোটি কোটি পশুপালনকারীকে উপকৃত করেছে।
মিলমার চেয়ারম্যান কে.এস. মণি বলেছেন যে এই পদ্ধতিটি ‘অনৈতিক’। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে দুধ সমবায় পণ্য বিক্রি করার একটি উপায় রয়েছে।
দুধ সমবায়গুলি প্রথমে একটি রাজ্যে তাদের মূল্য সংযোজন পণ্য যেমন আইসক্রিম, মিষ্টি, ঘি ইত্যাদি বিক্রি করা শুরু করে। তারপর তারাও দুধ বিক্রি শুরু করে। এর পর তরল দুধ বিক্রি শুরু হয়, পরে রাস্তার দোকানেও দুধ বিক্রি শুরু হয়।