শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর, ২৪ এপ্রিল : আয়ুষ্মান কার্ডের নামে আশাকর্মীর ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এসডিএমও এবং চক্র আধিকারিককে প্রায় মাস দেড়েক আগে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন নয়াটিলা জিপির ১নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জনগণ।
কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা সোমবার ফের আরও একটি অভিযোগ নামা দিয়েছেন।
এর পর তারা গণ আওাজ-এর এই প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ক্ষোভ ঝাড়েন।
জানান, শুধু আয়ুষ্মান কার্ডই নয়, শিশুর জন্মের প্রমান পত্র দেওয়ার নামে গ্রামের খেটে খাওয়া গরীব জনসাধারণের কাছ থেকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।
আশ্চর্যের বিষয় হল এতদিন পার হয়ে গেলেও কেন আজ পর্যন্ত সেই অভিযোগের তদন্ত করে দুষি ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হনি?
কেন ভুক্তভোগীদের আবারও এসে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে? তাহলে কি, যে শস্য দিয়ে ভুত তাড়ানোর কথা সেই শস্যেও ভুত?
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্নীতিবাজদের কাছে করেছেন ভুক্তভোগী জনগণ?
ভুক্তভোগীরা গণ আওয়াজ-এর মাধ্যমে এব্যাপারে করিমগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য যুগ্ম সঞ্চালক ও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তারা বলেছেন, এসব দুর্নীতি গ্রস্থ আশাকর্মী এবং আধিকারিকদের জন্য সরকারের বদনাম হচ্ছে, আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তাই এসব দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী কর্মী-আধিকারিকদের বেছে বেছে চাকরি থেকে অপসারণেরও দাবি জানান তারা।
অন্যতায় সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলে হুশিয়ারি দেন।
এব্যাপারে রামকৃষ্ণনগর এসডিএমওকে কেন জনসাধারণের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেনা এবং অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে, তিনি জানান সোমবারেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ জানাবেন।
লিখিত অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে তার উপর আইনত বিহিত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।