জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল : ধর্মপ্রাণ মহিলা নমিতা বণিক আর নেই।
বিভিন্ন রোগভোগের পর সোমবার রাত ১.৪০ টায় ঘাটলাইনস্থিত নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তিনি রেখে গেছেন দুই পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি, নাতনি সহ শুভানুধ্যায়ীদের। বড় পুত্র নরেন্দ্র বনিক ওরফে রাজু ব্যবসায়ী।
ছোট পুত্র নির্মল বনিক ওরফে বিজু করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং পুর কমিশনার।
এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন প্রয়াত নমিতা বণিক।
তাঁর স্বামী প্রয়াত নারায়ণচন্দ্র বণিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ বছর।
প্রয়াত নমিতা বণিক ধর্মকর্মে সবসময় নিবেদিত ছিলেন, বৃন্দাবনে ঘন ঘন ছুটে যেতেন। করিমগঞ্জ মদনমোহন আখড়ায় গীতা পাঠের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
সম্প্রতি দুরারোগ্য কর্কট রোগ ধরা পড়ে তার শরীরে।
তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোলকাতায়, সেখানেই দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলে।
সম্প্রতি কোলকাতা থেকে করিমগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ক্যান্সার হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ রবি কান্নানের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই চিকিৎসা চলে। গত কয়েকদিন থেকে স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে।
নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, অক্সিজেন লাগানো ছিল।
তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার রাত ১.৪০ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হয় সুভাষনগর শ্মশানঘাটে।
সেখানে অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেখানে হরিনাম সংকীর্তন করেন করিমগঞ্জ ইসকনের প্রধান সন্ত নৃসিংহনন্দজি মহারাজ।
এদিকে, নমিতা বণিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিচিত মহলে।
শোক প্রকাশ সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, করিমগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দেবব্রত সাহা, এসসি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস, ডিএসএ-র সচিব সুদীপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
শ্মশানঘাটে জেলা বিজেপির বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, লায়ন্স ক্লাব সহ অন্যান্য সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।