গুয়াহাটি, ২৮ এপ্রিল : উত্তরপূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর বিভিন্ন বাজারে অন্তত ১৫ শতাংশ বিষাক্ত ফরমালিনযুক্ত মাছ বিক্রির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
খবর অনুসারে, উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোতে আমদানি করা মাছের ১৫ শতাংশের বেশি ফরমালিন, ০.০০৩ শতাংশ ক্যাডমিয়ামের সঙ্গে ০.১৫ শতাংশ আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
সূত্র প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে যে, আসামে মৎস্য দফতরের আমদানিকৃত মাছে ফরমালিন শনাক্ত করার প্রাথমিক পরীক্ষা করার পর্যাপ্ত সুবিধা নেই।
এই জন্য রাজ্যে আমদানি করা মাছের উপর ফরমালিন পরীক্ষা করেনি। তবে এ বিষয়ে বিভাগটি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে।
এব্যাপারে নগাঁওয় বড়বাজার এলাকার এক মাছ বিক্রেতা দাবি করেছেন যে আমদানি করা মাছে ফরমালিন নেই এবং তারা বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ আমদানি করে।
দুই বছর আগে মৎস্য অধিদফতর সর্বশেষ পরীক্ষা চালায়, সে সময় মাছে কোনো ফরমালিন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে।
এর আগে, নগাঁওয় কলেজের প্রানিবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক শিক্ষার্থী জেলার বিভিন্ন স্থানীয় মাছের বাজার থেকে সংগৃহীত নমুনায় ফরমালিন খুঁজে পান।
পরীক্ষার সময় গবেষক দল বাজারে পাওয়া মাছে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাছের নমুনাগুলো অত্যন্ত সজ্জিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে।
আমদানি করা মাছে বিষাক্ত ফরমালিনের খবরে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ আরও বলেছেন যে রাজ্যের মৎস্য দফতরের পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি আপগ্রেড করার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে একই মাছ উত্তরপূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর বিভিন্ন বাজারে আসায় উদ্বেগে বাড়ছে।