হিবজুর রাহমান বড়ভূইয়া : এবার বন্ধন ব্যাংকের বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ। গোল্ড লোন নিয়ে প্রতারণা শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি।
তিন ব্যাংক কর্মীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলাও করেছেন তিনি।
বেরেঙ্গা তৃতীয় খন্ডের বাসিন্দা একবাল হোসেন চৌধুরী আজ নিজেই একথা জানিয়েছেন গণ আওয়াজকে।
একবাল জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর সময়ে তিনি শিলচর রাঙ্গিরখাড়ির বন্দন ব্যাংক থেকে আনুমানিক ৭০হাজার টাকার সোনার গহনা রেখে ১৫ হাজার টাকা গোল্ড লোন নিয়েছিলেন।
সেই সময় লিংক ফেইলিউর দেখিয়ে ব্যাংক থেকে গোল্ড লোনের বিষয়ে তাকে কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি।
বলা হয়েছিল ৩-৪ দিনের মধ্যে তাকে নথিগুলি দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে তিনি নথি সংগ্রহ করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নাকি তাকে বাইকের ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত নথি দেওয়া যাবেনা জানানো হয়।
কিন্তু বাইক লোনের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে তিনি বন্দন ব্যাংকে সোনার গহনা ফিরিয়ে আনতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, তার একাউন্টে কোন সোনার গহনা রাখা নেই।
তিনি যার কাছে সোনার গহনা রেখে ছিলেন সেই মিসবাহরুল হক চৌধুরী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
একবাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষে এবিষয়ে লীগেল নোটিশও পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিচার সভার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরও প্রতারনা।
একবাল লোণ নিয়েছিলেন ১৫ হাজার টাকা, কিন্তু ব্যাংকের খাতায় লেখা হয়েছে ১৮হাজার টাকা।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার একটি কাগজে লিখিতভাবে দিয়েছেন একবালকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সেই অনুযায়ী একটি সোনার দোকানে গহনা অর্ডার করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তিন মাস অতিক্রম হওয়ার পরও কোন গহনা পাননি তিনি।
এখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষও কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না।
তাই বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার ব্যাংকের মিসবাহরুল ইসলাম, তসলিম লস্কর এবং সঞ্জয় নাথকে অভিযুক্ত করে শিলচর সদর থানায় মামলার দায়ের করেছেন। একবাল উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন।