ভোপাল, ২৯ এপ্রিল : দেশ থেকে করোনা সংক্রমণ কমলেও মধ্যপ্রদেশ রাজনীতিকে “করোনা ভাইরাস এবং প্রতিষেদক ভ্যক্সিন” আক্রান্ত করে তুলেছে।
কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং যখন বলছেন তিনি বিজেপির জন্য করোনা, তার পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি নেতা নরোত্তম।
নরোত্তম বলেছেন আমাদের কাছে ভ্যাকসিন আছে যা…।
এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কংগ্রেস নেতার পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন ‘ডিগ্গি’ মধ্যপ্রদেশে করোনার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
অন্যদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র কংগ্রেসে নেতা দিগ্বিজয় সিংকে আক্রমণ করে বলেছেন যে আমাদের কাছে এমন একটি ভ্যাকসিন রয়েছে যা করোনাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
শুধু তাই নয়, তিনি দিগ্বিজয় সিংকে কটাক্ষ করে বলন, কংগ্রেসের করোনার জন্ম শুধু চীনে হওয়া উচিত ভারতে নয়।
মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে করোনা যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী তুলসী সিলাভাতের একটি বক্তব্য।
রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী তুলসী সিলাভাত কংগ্রেস নেতা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয়কে আক্রমণ করে বলেছিলেন “দিগ্বিজয়”কংগ্রেসের করোনা।
তিনি বলেছিলেন যে করোনার উৎপত্তি চীন থেকে, তাই আমি বলছি কংগ্রেসের এই করোনার জন্ম চীনে হোক মহাকালের কাছে এটাই আমার প্রার্থনা।
তুলসী সিলাভাতের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় এবং দিগ্বিজয় তার নিজস্ব স্টাইলে এর প্রতিক্রিয়া জানান।
দিগ্বিজয় সিং বলেন, আমি বিজেপি এবং আরএসএসের জন্য করোনা, সবাই জানে তুলসী সিলাবত কোথা থেকে এসেছে, কী ব্যবসা চলে।
তুলসী শিলাবতকে জিজ্ঞাসা করুন আপনার বড় ব্যবসা কোথা থেকে এসেছে? টাকা এল কোথা থেকে? আমি বিজেপি এবং সংঘের জন্য করোনা।
দিগ্গি রাজার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মুখ্যমন্ত্রী চৌহান।
তিনি জবাব দিয়ে বলেন, দিগ্বিজয় সিং সঠিক তুলনা করেছেন, কোভিড ভাইরাস এমপিকে ততটা ক্ষতি করেনি যতটা তিনি এবং কমল নাথ করেছেন।
দিগ্বিজয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, দিগ্বিজয় নিজেই করোনাকে মেনে নিচ্ছেন।
সবাই জানে করোনা ভাইরাস চীন থেকে উদ্ভূত।
এতদিন লোকে বলত দিগ্বিজয় সিং আইএসআই-এর ভাষায় কথা বলেন, আমরা তাদের নির্দেশ মেনে চলি।
কিন্তু এখানে বিষয়টি এগিয়ে গিয়ে চীনে পৌঁছেছে। যাইহোক, বিজেপির কাছে এমন একটি ভ্যাকসিন রয়েছে যা করোনাকে নিষ্ক্রিয় করে। এই কথার যুদ্ধ শুরু হয়েছে দিগ্বিজয় যখন মহাকালের কাছে প্রার্থনায় বলেছিলেন, হে প্রভু, হে মহাকাল, কংগ্রেসে আর একজন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যেন জন্ম না নেন।