অনিমেষ চক্রবর্ত্তী, বড়খলা : জল জীবন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ঘরঘর জল ঘরঘর নল এই প্রতিশ্রুতি পালনে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি পানীয়জল প্রকল্পকে ঢেলে সাজাতে কাড়ি কাড়ি অর্থও বরাদ্দ করছে।
কিন্ত বড়খলার শালচাপড়া উন্নয়ন খণ্ডের শালচাপড়া প্রথম খণ্ড পানীয়জল প্রকল্পের অন্তর্গত ঘাঘরাপার দ্বিতীয় খণ্ডের প্রায় ৩৫টি পরিবার আজও বিশুদ্ধ পানীয়জল থেকে বঞ্চিত।
গণ আওয়াজ-এর কেমেরারার সামনে দাড়িঁয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এলাকায় পানীয়জল প্রকল্পের পাইপ লাইন ঢুকলেও গৃহ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের অভিযোগ, প্রতিটি গৃহ সংযোগের জন্য প্রকল্পে কর্মরত নজরুল ইসলাম এবং পরিচালন কমিটির সভাপতি অসীম দাস ও সম্পাদক বিধান দাস ১৫০০ টাকা করে নাকি উৎকোচ দাবি করছেন।
বিক্ষুব্ধরা গণ আওয়াজ-এর ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, এটাই কি তাহলে নেবো না এবং দেবো না-র বাস্তবতা?
ঘুস না দিলে আমরা বিশুদ্ধ পানীয়জল পাব-না?
তারা নিজেদেরকে গরীব এবং দিন মজুর হিসাবে তুলে ধরে বলেন, নিত আনছি আর নিত খাচ্ছি, আমাদের পক্ষে জলের গৃহ সংযোগের জন্য ১৫০০ টাকা উৎকোচ দেওয়া সম্ভব নয়।
সরকার যেখানে জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছে সেখানে কেন উৎকোচ দাবি করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেন।
প্রকল্পের কর্মী নজরুল ইসলাম এবং পরিচালন কমিটির কর্মকর্তারা উৎকোচ না দেওয়ায় তাদেরকে গালিগালাজ ও কোন দিন প্রকল্প থেকে জল না দেওয়ার হুমকি দেন বলেও তারা জানান।
এমতাবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে ৩৫টি পরিবারের লোকজন জল প্রকল্পের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন।
তারা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ হায় হায়, পরিচালন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক হায় হায়, জল চাই জল দাও, প্রকল্পের কর্মী নজরুল অন্যত্র বদলি করতে হবে শ্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস মূখরিত করে তুলেন। এই বিক্ষোভে শতাধিক মহিলা-পুরুষ সামিল হন।