অনিমেষ চক্রবর্ত্তী, বড়খলা : সরকারী প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের হরিরলুট চলছে বড়খলা বিধানসভা সমষ্টির বিভিন্ন জিপিতে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেও সিংহভাগ মাঝপথে হরীর লুট করে নিচ্ছেন একাংশ মুখোসধারি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।
যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সমষ্টির গরীব-দুঃখী, অসহায়, হত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষরা।
এমন একটি চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে বড়খলা সমষ্টির ডলু জিপির চতুর্থ খন্ডে। অধিকাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ অরুণোদয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত।
সরকার যখন গরিব দুঃখী মানুষদেরকে প্রধানমন্ত্রী আবাস সহ অরুণোদয় প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিয়েছে, সেই সময় অর্থের বিনিময়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন বিত্তবানরা।
তাদের দুর্দশার কথা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হলেও কোন গুরত্ব দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ।
কোন সুরাহা না পেয়ে অবশেষে গণ আওয়াজ-এর ক্যামেরার সামনে তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন “সরকার বলছে সবকা সাথ সবকা বিকাস”, কিন্তু কোথায়?
বাস্তবে তো উল্টো হচ্ছে। যার অরুনোদয় পাওয়ার কথা নয় তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, তা কি জনপ্রতিনিধিরা দেখছেন না?
এমন কি তারা এই অভিযোগের তীরের নিশানা থেকে ডলু জিপি সভানেত্রী সুজতা সতনামিকেও ছাড়েন নি।
জেলা পরিষদ সদস্যার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডলু জিপির উদ্বিগ্ন জনতা।
তাদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ সদস্যার কোন কোনও সহযোগিতা আশাই করতে পারছেন না।
বলেন, আমরা বাগান শ্রমিক, বাগানে কাজ করে ঘর তৈরি করবো, নাকি ছেলেমেয়েদের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন দিবো।
এছাড়া বিগত বছরের দুবারের বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারি কোন সহায়তা পাননি, এখন অরুণোদয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে বিত্তবানদের সুবিদা দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি এলাকায় চলাচলের জন্য ভালো কোন রাস্তা ঘাট নেই, কাঁদা মেড়ে চলাচল করতে হয়। এলাকার জনগণ গণ আওয়াজ-এর মাধ্যমে তাদের সমস্যার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।