ব্যুরো রিপোর্ট : বন মাফিয়ারা অবাধে দিনে-রাতে চালিয়ে যাচ্ছে বনজ সম্পদ লুণ্ঠন। সরকারের মাসোরা সর্দাররাও হাত মিলিয়েছেন বন মাফিয়েদের সঙ্গে।
উধারবন বন উপ-সংমণ্ডলের অন্তর্গত সোনাচড়া থেকে আমাদের প্রতিনিধি যে চিত্র ক্যামেরাবন্ধি করেছেন তা খুবই চাঞ্চল্যকর।
নম্বার বিহীন গাড়ী দিয়ে চলছে বনজ সম্পদ লুণ্ঠন অভিযান। প্রতিদিন দেড়‘শ’ থেকে দু‘শ’ গাড়ী পাথর অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে সোনাছড়া থেকে।

সরকারকে হারাতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
আসামের বনবিভাগ এবং পরিবহন বিভাগের মাসোয়ারা সর্দারদের মদতে চলা বন মাফিয়াদের বেপরোয়া এই অবৈধ নম্বার বিহীন গাড়ীর দাপটে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
কয়েকদিন আগে নম্বার বিহীন একটি গাড়ী পিতা-পুত্র দু’জনের প্রান হরন করেছে।
নম্বার না থাকায় সেই গাড়ীর মালিক কে বা কোন গাড়ী দু’জনের প্রান কেড়ে নিয়েছে আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান বের করতে পারেনি পুলিশ।
সমানভাবে চলছে বৃক্ষ ছেদন করে পাচার বানিজ্য।

একদিকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে এক কোটি বৃক্ষ রোপণ করে গিনিসবুকে নাম তুলার ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে সরকারের লম্বা মাইনের সর্দাররা নিজেদের স্বার্থে বন মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমানতালে বনজসম্পদ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
ওয়াইল্ড লাইফ চেঞ্চুরি বড়াইল থেকে প্রতিদিন রাতে সোনাছড়া দিয়ে শত শত ফুট কাঠ বেরিয়ে যাচ্ছে।
এতে সরাসরি নাম জড়িয়ে পড়েছে উধারবন বন উপ-সংমণ্ডলের আধিকারিক এবং সহযোগী আধিকারিক সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের।
সোনাছড়ার এই বনজ সম্পদ লুণ্ঠন ইংরেজ শাসনকেও হার মানাবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের বিভাগীয় মন্ত্রীর এসব বন মাফিয়া এবং সরকারের মাসোয়ারা সর্দারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে? না পকেট হালকা হওয়ার ভয়ে আইনের দুহাই দিয়ে আস্কারা দেবে!
গণ আওয়াজের হাতে সোনাছড়ার পাথর এবং ওয়াইল্ড লাইফ চেঞ্চুরি বড়াইল-এর কাঠ মাফিয়াদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসে পৌঁছেছে। এব্যাপারে আরও অন্তরতদন্ত চলছে।