অনিমেষ চক্রবর্ত্তী, বড়খলা : বহু আন্দোলন বহু সংগ্রামের পর আসাম মালা প্রকল্পের সড়ক ভাগ্যে জোটলেও এখন নির্মাণ কাজ নিয়ে জনগণের সাথে টালবাহানা করার অভিযোগ উঠছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই প্রকল্পের কাজ আরম্ভ হওয়ার আগেই সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যাদের জমি, বাড়ি, ক্ষেতের জমি ইত্যাদি সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হবে তাদেরকে জমির সঠিক মুল্য প্রধান করা হবে।
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সড়ক নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয় এবং সরকার এ ব্যাপারে নোটিশও জারি করেছে।
কিছু সংখ্যক জনগণকে তাদের জমির ন্যায্য মূল্যও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অসম মালা প্রকল্পের কাজ নিয়ে বড়খলা মৌজাতে অন্য চিত্র দেখা দিয়েছে।
বড়খলা বাজার থেকে বেটনারি পর্যন্ত পুরোনো জরিপে কাজ চলছে। প্রতিবাদী জনতার অভিযোগ, সমগ্র সড়ক একই জরিপ মতো এবং বড়খলা মৌজায় ভিন্ন জরিপে কাজ করার চক্রান্ত করছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সেলিম আহম্মদ লস্কর প্রশ্ন তোলেন একই সড়ক একই কাজ, অথচ ভিন্ন নিয়মে কিভাবে তৈরি হবে?
তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বলেন, দালাল চক্রের সহযোগে বিভাগীয় আধিকারিকরা জনগণকে অন্ধকারে রেখে তাদের প্রাপ্য আত্মসাতের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
সেলিম শাসক বিজেপির কঠুর সমালোচনা করে বলেন, দলের বড়খলা মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক এবং অন্য দিকে সেডোর সম্পাদক মহাসড়কে দাড়িঁয়ে বলছেন সরকারের কাজ ভাল নয়।
কিন্তু উনি আবার ওই দলের একনিষ্ট কর্মী।
তিনি বিভাগীয় উপ-মাণ্ডলিক আধিকারিক সুজিত বৈষ্ণবকেও তুলোধূন করেন।
সেলিম বলেন যে, কাছাড়ের জেলা শাসকে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
রবিবার বিকাল আবার বড়খলা বাসষ্ট্যাণ্ডে এক প্রতিবাদী সভা করে বড়খলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি আলি আহমেদ বড়ভুইয়া, এপি সদস্য শিবু চন্দ্র দাস, রুহুল আমিন বড়ভুইয়া, সেলিম উদ্দিন লস্কর, আব্দুল বাইস মজুমদার, সুলেমান বড়ভুইয়া সহ অন্যান্যরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কাছাড়ের জেলা শাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যথায় তারা গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সড়ক অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন। সভায় বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্করেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে জানা যায়। কিন্ত অবশেষে তিনি অনুপস্থিত থাকায় তাকে নিয়ে নানান চর্চা শুনা যায়।