শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : অসম রাজ্যিক প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নিম্নপ্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী পদ সৃষ্টি না করা পর্যন্ত শিক্ষাসেতু পোর্টালে কোন ধরনের কাজ না করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণ বয়কট করেন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকরা।
করিমগঞ্জ জেলা শিক্ষা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি শিক্ষা ব্লকে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষাসেতু পোর্টালের প্রশিক্ষণ পর্ব।
কিন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রশিক্ষণ বয়কট করেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। এই প্রশিক্ষণ বয়কটের নেতৃত্ব দেয় অন্যান্য জেলার মত করিমগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনী।
করিমগঞ্জ জেলা সম্মিলনী এক বিবৃতিতে গোটা রাজ্যের সঙ্গে করিমগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করা অবধি সরকারের সঙ্গে এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।
অসম রাজ্যিক প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত মতে ২১মের ভিতরে অসম সরকার প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির আদেশ প্রকাশ না করলে শিক্ষা বিভাগ কতৃক প্রদান করা ট্যাবলেট পিসি আগামী ২২ মে সংশ্লিষ্ট খন্ড প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সম্মিলনীর তরফে আরও বলা হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনী ১৯৮২ ইং থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির দাবি জানিয়ে আসছে।
অসম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ শিক্ষা অধিকারিকদের সঙ্গে কমপক্ষে চল্লিশ বার আনুষ্ঠানিকভাবে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কিন্তু সরকারপক্ষ প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই দিচ্ছে না।
পদ বিহীন পদে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে সুইপার, চৌকিদার থেকে আরম্ভ করে অভিযন্তা পর্যন্ত সকল ধরনের কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
নতুন করে শিক্ষা সেতুর পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে এবার।
অথচ প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সম্মিলনীকে দেওয়া লিখিত প্রতিশ্রুতি বার বার ভংঙ্গ করে আসছে সরকার। তাই সম্মিলনীর কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মতে প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির আদেশ প্রকাশের পূর্বে শিক্ষাসেতু সম্পর্কীয় কোনো কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা।