শিলচর : আসামের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের সমস্ত সরকারি কাজকর্মে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় অসমিয়া, বড়োল্যান্ডে বড়ো এবং বরাকে বাংলা ব্যাবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু বরাকের অধিকাংশ আমলারা এই নির্দেশ মেনে চলেন না বলে অভিযোগ জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে বরাকের অবাঙালি ডিসি, এসপি, ইঞ্জিনিয়ার সহ আধিকারিকদের সাথে সাধারণ মানুষকে কোন কিছু বিনিময় করতে হলে তাঁদের ভাষায় করতে হয়।
এতে অনেকেরই বিশেষতঃ যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তাদের সমস্যা হয় এবং তাদের অভাব অভিযোগ সঠিকভাবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে পৌঁছায় না।
একই সমস্যা বরাকের সমস্ত থানায় পরিলক্ষিত হয়। বরাকের অধিকাংশ থানায় বর্তমানে অবাঙালি আধিকারিক কাজ করছেন।
সাধারণ নিরক্ষর মানুষ যখনই কোন এজাহার লেখাতে যান সংশ্লিষ্ট আধিকারিক তা নিজের ভাষায় লিপিবদ্ধ করেন, যা অভিযোগ কারী সঠিক বুঝতে পারেন না।
ফলে এতে অভিযোগটি সঠিক ভাবে উপস্থাপন না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এরকম হলে ভবিষ্যত মামলায় তার মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জয়দীপ বলেন যে সিভিল সার্ভিস অফিসার থেকে শুরু করে থানার আধিকারিদের যেসব জেলায় নিয়োগ করা হয়, তাঁদের সরকারি নির্দেশ থাকে যে ছ’মাসের মধ্যে সেই জেলার ভাষা ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হতে হবে ও আয়ত্ব করতে হবে।
তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বরাকের কোন আধিকারিক এই ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না।
১৯ শে মেকে সামনে রেখে তাঁরা বরাকের সমস্ত আধিকারিকদের অবিলম্বে এই ব্যাপারে তৎপর হবার আবেদন জানাচ্ছেন।
যদি এরপরও কারুর এই ব্যাপারে কারও অনিচ্ছা থাকে তবে তিনি বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে যেতে পারেন।
বিডিএফ যুব ফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত এদিন ভাষা শহিদদের আত্মবলিদানকে সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে বাংলাকে সরকারি সহযোগি ভাষার স্বীকৃতির দাবিও জানিয়েছেন।
তিনি এবারের ১৯ শে মেতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছেন। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছেন ।