আইজওল : মণিপুরের বাস্তুচ্যুত শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্ত করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে শিক্ষা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছে মিজোরাম সরকার।
উল্লেখ্য যে মণিপুরের সাম্প্রতিক অশান্তি মিজোরামে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত শিশুদের একটি বড় আকারের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
তাই বলা হয়েছে যে সমস্ত জেলা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন তাদের ভর্তির অনুমতি দেয়, এমনকি বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির অনুরোধ করে।
রাজ্যের শীর্ষ ছাত্র সংগঠন মিজো জিরলাই পাওল ও সরকারের সাথে বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সংগঠনের সভাপতি লালনুনমাওয়াইয়া পাতু বলেছেন।
জানা গেছে যে গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১২৩ জন সহ জাতিগত দাঙ্গায় মোট ৭,৯২৮ জন মিজোরামে প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ মহিলা, শিশু এবং বয়স্করা রয়েছেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহিংসতা কবলিত মণিপুর থেকে পালিয়ে এসে রাজ্যের নয়টি জেলায় তারা আশ্রয় নিয়েছে।
আসাম সীমান্তের কাছে কোলাসিব জেলায় অন্তত ২,৭৪৪ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে, আইজলে ২,৬১০ জন এবং সাইচুয়াল জেলায় আশ্রয় নিয়েছে ২,২২৯ জন।
বাকি ৩৪৫ জন চাম্পাই, খাওজাওল, সেরচিপ, মামিত, লুংলেই এবং হান্নাথিয়াল জেলায় আশ্রয় নিয়েছে জানিয়েছেন তিনি।
অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে এবং অনেকে আশ্রয় নিয়েছে তাদের আত্মীয়দের কাছে।
কুকি-মিজো-হমার-জোমি সম্প্রদায়গুলি সম্মিলিতভাবে মণিপুরে কুকি বা জো হ্নাথলক জো উপজাতি নামে পরিচিত, যাদের মিজোদের সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে।
হাজার হাজার জাতিগত জো উপজাতি যারা মূলত মণিপুরের বাসিন্দা, তারা কয়েক দশক ধরে মিজোরামে বসতি স্থাপন করেছে।
মিজোরাম-মণিপুরের সাথে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তঃরাজ্য সীমান্তের দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মিজো এবং কুকিদের মধ্যে নিয়মিত চলাচল ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।