মহারাষ্ট্র : শনিবার ওড়িশায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা বালাসাহেব থোরাত।
সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় বালাসাহেব থোরাত বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার সংবেদনশীল নয় এবং এই জাতীয় ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও তিনি জানতে চেয়েছেন।
থোরাত বলেন প্রধানমন্ত্রীর নতুন ট্রেন উদ্বোধনেও রেলমন্ত্রীকে দেখা যায় না, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে তার পদত্যাগ করা উচিত।
রাজ্যের রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে বালাসাহেব থোরাত বলেন যে বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডেকে তার দল সরিয়ে দিয়েছে, কিন্তু কংগ্রেস তার জন্য দরজা খোলা রেখেছে।
উল্লেখ্য যে পঙ্কজা হলেন প্রয়াত গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা, যার পার্টি লাইনে উরদ্ধে উঠে সবার সাথে চমৎকার সম্পর্ক ছিল।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির উত্থানে তাঁর অবদান র্যেছে। তবে এটা দুঃখজনক যে তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেছেন থোরাত।
মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনে কংগ্রেসের সম্ভাবনা পর্যালোচনা করার জন্য শুক্রবার শুরু হওয়া দুদিনের বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, থোরাত বলেছেন যে জেলা স্তরের কর্মীরা নেতৃত্বকে ব্যাখ্যা করছেন যে প্রতিটি আসনে দলের ভিত্তি ভাল।
তিনি বলেছেন যে প্রতিক্রিয়াটি মহা বিকাশ আঘাদি জোটের শিবসেনা (ইউবিটি) এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সাথে আসন ভাগাভাগি আলোচনার সময় সাহায্য করবে।
কারণ জোট সর্বাধিক সংখ্যক আসন জয় নিশ্চিত করা।
বিজেপি নেতা প্রয়াত গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা মুন্ডে প্রায়শই জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
তিনি ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শক্ত ঘাঁটি পারলি থেকে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা এবং চাচাতো ভাই ধনঞ্জয় মুন্ডের কাছে পরাজয়ের পর থেকে সরে আসেন।
২০২২ সালের আগস্টে মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডে-দেবেন্দ্র ফড়নভিস মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণের পর তিনি বলেছিলেন যে বার্থ পাওয়ার জন্য তিনি যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন না। তাঁর এই মন্তব্য আবারও বিজেপি শিবিরে তার অসন্তুষ্ট হওয়ার বিষয় আলোচনার দিকে নিয়ে যায়।