শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : রাতাবাড়ি বিধানসভা সমষ্টির দুল্লভছড়া জিপির অন্তর্গত মুকামছড়া ৬নং ওয়ার্ডের শতাধিক পরিবার স্বাধীনতার পর থেকে আজও বিশুদ্ধ পানি জল থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
গ্ৰামবাসিরা মুকামছড়া চা বাগান এলাকার জল জীবন মিশন প্রকল্পের বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার গৌতম সিনহার কাজের দুর্নীতির উপর অভিযোগ উত্থাপিত করেন।
তারা সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখে নিজেদের দুঃখের কথা তুলে ধরে জানান যে, তথ্যফলক ছাড়াই ঠিকাদার গৌতম সিনহা জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছেন।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্র সরকারের হর ঘর নল হর ঘর জল প্রকল্প বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন ছিলো সেই স্বপ্ন আজও অর্ধসমাপ্ত হয়ে রয়েছে।
কারণ কোথাও পুরোনো পিএইচিতে নতুন রং করে জল জীবন মিশনের মঞ্জুরীকৃত অর্থের সিংহভাগ আত্মসাৎ চলছে, আবার কোথাও প্রকল্পের স্থান থেকে সামান্য জায়গায় পাইপ লাইন ও নল বসানো হয়েছে কিন্তু জল নেই।
তবে ঠিকাদার গৌতম সিনহা তথ্য ফলক ছাড়াই কেন সরকারি কাজ সমাপ্ত করলেন সেটা আজও রহস্য।
পিএইচি বিভাগের উর্ধ্বতন আধিকারিক সহ বিভাগীয় ইঞ্জিনীয়াররা সরকারি গাইডলাইন না মেনে জল জীবন মিশনের কাজ সরকারিভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করাচ্ছেন?
এমনি প্রশ্ন উত্থাপিত করলেন গ্ৰামবাসিরা।
গ্ৰামবাসিরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সহ করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালাহ ও রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বলেন জল জীবন মিশন প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা চলছে সেইদিকে গুরুত্ব দিতে।
কারণ যেসব স্থানে জলের প্রয়োজন নেই সেইসব স্থানে দু-তিনটি করে জলের নল বসানো রয়েছে, আর যেসব স্থানে জলের প্রয়োজন রয়েছে সেইসব স্থানে আজও বিশুদ্ধ পানি জল পৌঁছায় নি।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি সরকারের ভ্রষ্টাচার মুক্ত দেশ ও রাজ্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা বিফল হচ্ছে? এমনি প্রশ্ন এলাকার ভুক্তভোগী জনগণের। রামকৃষ্ণ নগর থেকে শ্যামল আচার্যের রিপোর্ট