শিলচর : আসামের ঘুষ সাম্রাজ্যের আরও দুই বিজেতার নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলো ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স এবং অ্যান্টি-করাপশন।
এই দুই বিজেতার মধ্যে একজন হলেন মরিগাঁওয়ের ভুরাগাঁও রাজস্ব সার্কেলের জালালউদ্দিন শেখ এবং অন্যজন শিবসাগরের নাজিরা রাজস্ব সার্কেলের দিগন্ত বড়ুয়া।
তারা দুজনই দীর্ঘ বছর থেকে জনসাধারণের কাজ করার জন্য লম্বা মাইনে নেওয়ার পাশাপাশি ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে আসছিলেন।
আজও তাদেরকে ঘুষ নেওয়ার সময় ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স এবং অ্যান্টি-করাপশন বিভাগের কর্মকর্তারা পাকড়াও করেন।
ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স-এর টুইটবার্তার খবরে জানা গেছে যে মরিগাঁওয়ের ভুরাগাঁও রাজস্ব সার্কেলের জালালুদ্দিন শেখ নামের ওই সরকারী কর্মচারী একটি ইট ভাটার অনাপত্তি সনদ (এনওসি) প্রদানের জন্য ঘুষ দাবি করেছিলেন।
এদিন অভিযোগকারীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তার বাসা থেকে ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স এবং অ্যান্টি-করাপশন বিভাগের কর্মীরা গ্রেফতার করেন।
ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এদিন আরেকটি অভিযান চালিয়ে দিগন্ত বড়ুয়া নামের নাজিরা রাজস্ব সার্কেলের একজন লাট মন্ডলকেও গ্রেফতার করে ঘুষ সাম্রাজ্যের বিজেতা ঘোষণা করেছেন।
বড়ুয়া নাজিরা রাজস্ব সার্কেলের একজন লাট মন্ডল, তিনি ট্রেস ম্যাপ এবং জমির হোল্ডিং নম্বর সার্টিফিকেট প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযোগকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করার সময় ঘটনাস্থলেই তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এর আগেও ঘুষ সাম্রাজ্যে পারদর্শিতার জন্য ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স এবং অ্যান্টি-করাপশন বিভাগের কর্মকর্তারা এরকম আরও অনেক বিজেতার নাম ঘোষণা করেছেন।
প্রায় প্রত্যেককেই সসম্মানে চাকরিতে বহাল করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলচর নির্বাচনী কার্যালয় থেকেও এভাবে এক সরকারী কর্মচারীকে অ্যান্টি-করাপশন গ্রেফতার করেছিল, পরবর্তীতে তাকেও সসম্মানে হোমগার্ড অফিসে সমমর্যাদার পদে বহাল করা হয়েছে।
যার কারনে ঘুষের বানিজ্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, শিলচর ট্রেজারি অফিস ও সেটেলমেনট অফিস সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারী অফিস থেকে এই সাম্রাজ্যের একের পর এক চ্যাম্পিয়নরা বেরিয়ে আসছেন।
এদেরকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন জনসাধারণ! সরকার চ্যাম্পিয়নদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চাইলে হয়তো প্রতিটি অফিসের চেয়ার ফাঁকা পড়ে থাকবে, তাই এব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেনা।