মোস্তাফা এ মজুমদার,হাইলাকান্দি : যে যাই বলুক না কেন হাইলাকান্দির জনগণের সুখে দুঃখে পাশেই আছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যেখানে শেষ এআইইউডিফের সেখান থেকে শুরু।
হাইলাকান্দিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বললেন আলগাপুরের বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আজমল ফাউন্ডেশনের দ্বারা গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আজমল পরিবারের এমন পদক্ষেপ প্রশংসনীয়, এতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আশার আলো দেখতে পাচ্ছে।
তাছাড়া বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ছাত্র ছাত্রীদেরকে মোবাইল ফোনে অযথা সময় অপচয় না করে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
২০২৩ ইংরেজীর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কৃর্তীত্বের সহিত উত্তীর্ণ হওয়া হাইলাকান্দি জেলার মোট ষাট (৬০) জন কৃর্তী ছাত্র-ছাত্রীকে বুধবার জেলা সদরের টাউন হলে এক ঝাঁমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা প্রদান করে এআইইউডিফের ছাত্র শাখা ইউডিএসেফের হাইলাকান্দি জেলা কমিটি।
বুধবার বেলা দেড় ঘটিকায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এআইইউডিফের জেলা সভাপতি আইনজীবী আফজল হোসেন লস্করের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন এআইইউডিফ যুব ফ্রন্টের সভাপতি দুলন মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর।
তিনি বলেন, এআইইউডিফ প্রধান সাংসদ মওলানা বদর উদ্দিন আজমল রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে যেভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে মহানুভবতা দেখাচ্ছেন তাহা প্রশংসার যোগ্য।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আজমল ফাউন্ডেশন কর্তৃক উপকৃত হচ্ছেন।
আজমল পরিবার গরীব অসহায় আর্থিকভাবে দূর্বল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ১০০ শতাংশ শিক্ষার খরচ ফ্রী করে দিয়েছেন।
তিনি ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি মনোযোগ সহকারে উচ্চ শিক্ষা লাভের আহ্বান জানান।
বক্তব্য রাখেন হাইলাকান্দির বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারী স্কুল কলেজের তুলনায় বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করেছে।
ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন না দেখে এসিএস, আইএস হওয়ার স্বপ্ন দেখার জন্য ছাত্র ছাত্রীদেরকে পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এআইইউডিফের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন ইউডিএসেফের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সাহিল চৌধুরী।
তিনি তার বক্তব্যে কুচিলাতে নির্মিয়মান আইটিআইকে শীঘ্রই চালু করে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিতে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং উপস্থিত কৃর্তী ছাত্র ছাত্রীদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
তাছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রবীণ এআইইউডিফ কর্মী এখলাস উদ্দিন বড়ভূইয়া, এআইইউডিফের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী আলেখা বেগম লস্কর এবং আলগাপুর মইনুল হক চৌধুরী বিজ্ঞান কলেজের কৃর্তী ছাত্র আবু সলমন বড়ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটলিছড়ার জেলাপরিষদ সদস্য ইমরুল আলম বড়ভূইয়া ও আয়নাখাল নিশ্চিন্তপুরের জেলা পরিষদ সদস্য।
এদিন জেলা ইউডিএসেফের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ প্রায় ষাট জন ছাত্র ছাত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
তারমধ্যে রয়েছেন, আবু সলমন বড়ভূইয়া, আফিফ আহমেদ চৌধুরী, জেরিন তাছনিম চৌধুরী, লিটন দাস,নাজমিন সুলতানা চৌধুরী, মৌসুমী শুক্লবৈদ্ব,রিজমা বেগম চৌধুরী, অনুরাগ দত্ত, সুষমা রাণী দাস,আবু সালেহ লস্কর,বিপাশা দাস,তৌসিফ লস্কর,সাহারুজ্জামান লস্কর ও হাসিনা বেগম লস্কর প্রমুখ।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় দশজন পড়ুয়া ইউডিএসেফ দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রী সহ সবাইকে আয়োজক মণ্ডলির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউডিএসেফের সাধারণ সম্পাদক নেকিব আহমেদ, প্রাক্তন সভাপতি কয়েস আহমদ লস্কর, উপসভাপতি সহিদুল আলম মজুমদার, সাহা আলম লস্কর ও ইমাদ আহমদ লস্কর প্রমুখ। এদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউডিএসেফের জেলা সভাপতি আব্দুল মুনিম বড়ভূইয়া।