মোস্তাফা এ মজূমদার, হাইলাকান্দি : ডিলিমিটেশনের খসড়াকে অত্যন্ত দূর্ভগ্যজনক বলল হাইলাকান্দি বার সংস্থা।
ডিলিমিটেশনের আইনকে ভুড়ো আঙুল দেখিয়ে সীমানা পুননির্ধারণের খসড়ায় জেলার একটি আসন বিলুপ্তিকরনের তীব্র বিরুধীতা করেছে হাইলাকান্দি জেলা বার সংস্থা।
বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি বারে সংস্থার সভাপতি কমরুল ইসলাম চৌধুরীর পৌরহিত্য আয়োজিত সভায় ডিলিমিটেশনের প্রকাশিত খসড়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বারের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ লস্কর।
তিনি সমষ্টির সীমানা নির্ধারনে প্রকাশিত খসড়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছে। এই ডিলিমিটেশন বা সীমানা নির্ধারন কোন অবস্থায় গ্রহণ যোগ্য নয় বলে জানান তিনি।
এছাড়া হাইলাকান্দি জেলার তিনটি বিধানসভা সমষ্টির মধ্যে কাটলিছড়া সমষ্টিকে বিলুপ্তি করা জেলা বার সংস্থা মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দেন বার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সহ উপস্থিত সদস্যরা।
এ বিষয়ে আইনী লড়াইয়ের প্রস্থুতি হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান বার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ লস্কর।
বার সংস্থার সদস্য আইনজীবী রুকন উদ্দিন বড়ভূইয়া হাইলাকান্দি জেলার তিনটি সমষ্টির মধ্যে কাটলিছড়া সমষ্টিকে বিলুপ্তিকরন করা কোন অবস্থায় মানবেননা বলে সভায় সাফ জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ডিলিমিটেশন অ্যাক্ট ২০০২ এর সেকশন ৯ (এ)-কে সম্পূর্ণ অমান্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন যে এই আইনের ৯ (এ)-তে উল্লেখ রয়েছে প্রতিটি সমষ্টির একটি এলাকার সঙ্গে আরেকটি এলাকার সম্পর্ক থাকতে হবে।
এখানে দেখা গিয়েছে জেলার ভৌগোলিক মানচিত্রের সঙ্গে কোন ধরনের মিল নেই। তাই এই খসড়াকে একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
ডিলিমিটেশন নিয়ে শীগ্রই আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি হাইলাকান্দি বার সংস্থার রাষ্ট্রপতি, ডিলিমিটেশন কমিশন, মূখ্য নির্বাচন কমিশন, মূখ্য নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলা শাসকের কাছে পৃথকভাবে স্মারকপত্র প্রদান করা হবে।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাইলাকান্দি বার সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরুল ইসলাম চৌধুরী, আইজীবি নূরুল হক মজুমদার, আফজল হোসেন লস্কর, সামছুল ইসলাম লস্কর (মিনু), আহমেদ আলী লস্কর, দেবজীৎ চক্রবর্তী, রিংকু দে, হোসেন আহমেদ লস্কর, নেকিবুজ্জামান চৌধুরী, নূরুল আমিন মজুমদার, নুমান মিয়া বড়ভূইয়া, বুরহান উদ্দিন বড়ভূইয়া, জয়নূল হক চৌধুরী প্রমুখ।