শিলচর : ডিলিমিটেশনের খসড়া তালিকায় যেভাবে বরাককে বঞ্চিত করা হয়েছে তার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছিল বিডিএফ কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম সহ বিভিন্ন দল সংগঠন।
বনধকে সমর্থন জানিয়েছিল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি, বাঙালি নবনির্মান সেনা সহ বিভিন্ন সংগঠন।
বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন এই বনধের পরিপ্রেক্ষিতে গত দু’দিন ধরে যেভাবে লংমার্চ সহ পুলিশি তৎপরতা চলেছে তা এই উপত্যকায় আগে কখনো দেখা যায়নি।
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের কার্যক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বনধ চলাকালিন পুলিশ প্রশাসন থেকে জোর করে দোকান বাজার খোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সম্পুর্ন স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় জনগণের গনতান্ত্রিক প্রতিবাদকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
কিন্তু এতসবের পরও জনগনের স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদকে দমিয়ে রাখা যায়নি।
তিনি বলেন ১৯৬১-এর ভাষা আন্দোলনের মতোই আবার জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল বরাক বাসী জেগে উঠেছেন, এটি আগামীর জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
জনগনের এই মতামতকে গুরুত্ব দিতেই হবে নির্বাচন আয়োগ তথা সরকারকে।
তিনি বলেন গনতন্ত্রে জনগনই শেষ কথা। পৃথিবীর সমস্ত শাসককে জনগনের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়, জোর করে জনগণের আওয়াজকে দাবিয়ে রাখার ফল মারাত্মক হতে বাধ্য।
তাই তিনি আশা করছেন যে নির্বাচন আয়োগ তথা সরকার এই কথা উপলব্ধ করবেন এবং জনমতকে সম্মান জানিয়ে বরাকের নির্বাচন সমষ্ঠিকে আগের মতোই অক্ষুন্ন রাখবেন।
তিনি আরো বলেন যে এই খসড়া যতদিন প্রত্যাহার করা হয়নি নির্বাচন আয়োগে আপত্তিপত্র পাঠানো সহ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের প্রতিবাদ চলবে।
বিজেপির সমালোচনা করে বলেন এই ইস্যুতেও দলটি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।