শিলচর : ডিলিমিটশনের প্রকাশিত খসড়া চূড়ান্ত করা হলে বরাক উপত্যকাকে বাদ দিয়ে করতে হবে, নতুবা আসাম থেকে বরাক উপত্যকা পৃথক হবে জানিয়ে দিল বিডিএফ।
ডিলিমিটিশনের খসড়া নিয়ে নিয়ে পুরো বরাক জুড়ে যখন প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে সেই সময়ে আশ্চর্য জনকভাবে সরকারের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।
বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় ডিলিমিটেশনের এই খসড়া প্রস্তাব বরাকবাসী কোন অবস্থায় মেনে নেবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন।
কারণ এই খসড়া কার্যকর হলে আগামী ৩০ বছরের জন্য রাজনৈতিক অধিকার হারাবে এই উপত্যকা।
প্রকাশিত খসড়ায় বরাকের দুটি বিধানসভা ডিলিমিটেশনের নিয়ম নীতিকে অগ্রাহ্য করে কর্তন করা হয়েছে, এক সমষ্ঠির জনপদকে অন্য সমষ্ঠিতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে বরাক অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে সরকার থেকে বলা হচ্ছে এই খসড়া নির্বাচন আয়োগ তৈরি করেছে, এতে তাদের কোন হাত নেই।
অন্যদিকে সরকারের মুখ্যমন্ত্রীই বলছেন এই খসড়ার মাধ্যমে রাজ্যের খিলঞ্জিয়াদের অধিকার সুরক্ষিত হবে, আগামী ৩০ বছরের জন্য ১০২টি বিধানসভা আসনে খিলঞ্জিয়াদের আধিপত্য বজায় থাকবে।
দত্তরায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শপথে রাজ্যের সব জাতি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব রক্ষা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
তিনি খিলঞ্জিয়ার নন, রাজ্যের অসমিয়া, বাংলা ভাষী, বড়ো, ডিমাসা, কোচ, মনিপুরী, চা জনজাতি সমস্ত জনগোষ্ঠীর তিনি মুখ্যমন্ত্রী।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য সম্পুর্ন অসাংবিধানিক।
এছাড়া দত্তরায় বলেন রাজ্যে খিলঞ্জিয়া কারা এখনো সেই সংজ্ঞাই নির্ধারণ করতে পারেনি সরকার, আসাম একটি বহুভাষিক রাজ্য।
তাই ডিলিমিটেশন করে একটি গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেবার তত্ত্ব কোন অবস্থায় মেনে নেবেনা বরাকের জনগন। সরকার যদি এই খসড়াকে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে বরাক উপত্যকাকে এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। অন্যথা এই উপত্যকা আসাম থেকে পৃথকীকরণের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হবে।