অনিমেষ চক্রবর্তী, বড়খলা : বড়খলার প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর নাথ নিজ জয়নগর কুমার পাড়া জিপির রাস্তার কাজের জন্য ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
কিন্তু রাস্তার কাজ অর্ধ সমাপ্ত করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বালিঘাট চতুর্থ খন্ডের গ্রুপ সদস্য আহাদ হুসেন লস্কর।
এ ব্যাপারে তিনি জিপি সেক্রেটারি আব্দুল জলিল লস্কর এবং জে ই পরামনি বরার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করে অরুনাচল ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন।
শনিবার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে শালচাপরা ব্লকের এ,ই চন্দন কলিতা।
তিনি সবকিছু খতিয়ে দেখার পর গ্রুপ সদস্য আহাদ এ,ই চন্দন কলিতাকে বলেন স্যার আমি যদি মিথ্যা অভিযোগ করে থাকি তাহলে আমার বিরুদ্ধে এখনই আইনি ব্যবস্থা নিন।
আর না হয় তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনি ব্যাবস্তা গ্রহণ করুন।
এসিস্ট্যান্ট ইন্জিনিয়ার চন্দন কলিতা তদন্তে সড়ক সংস্কারের কাজে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে তা স্পষ্টভাবে হয়ে যায়।
এদিকে, রবিবার আহাদ হুসেন লস্কর সংবাদ মাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন, সড়কের কাজ সম্পুর্ন না করে কিভাবে এই দুই সরকারি আধিকারিক টাকা তুলে নিলেন?
কার সহযোগিতায় এত বড় সাহস দেখাতে পেরেছে তারা? তাদের দুজনের দুর্নীতির কারণে অর্ধসমাপ্ত কাজ জনগণ নিজের পকেটের টাকা খরচ করছেন!
সরকার উন্নয়নের জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ বরাদ্দ করলেও তা মাঝপথে লুটিয়ে খাচ্ছেন একাংশ সরকারি কর্মচারীরা করেন আব্দুল জলিল লস্কর।
লস্কর প্রশ্ন তুলে বলেন যে সরকারের তহবিল থেকে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরও কেন জনগণ আজ তাদের পকেটের টাকা খরচ করে সড়ক সংস্কারে হাত দিয়েছেন? সরকার তথা জেলা প্রশাসন দুরনিতিবাজ সরকারী এই কর্মীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বা করবে না এটা লক্ষনীয় বিষয়।