জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১২ জুলাই : ডিলিমিটেশন নিয়ে নানা দল সংগঠনের সঙ্গে প্রতিবাদে পিছিয়ে নেই জেলার সাংবাদিকরা, ই-মেইলে নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকপত্র প্রেরণ করেছে করিমগঞ্জ প্রেস ক্লাব।
প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে জেলার অন্যান্য সাংবাদিক সংস্থা ক্রমে বদরপুর প্রেসক্লাব, রামকৃষ্ণনগর প্রেসক্লাব, বৃহত্তর পাথারকান্দি সাংবাদিক সংস্থা, বদরপুর প্রেস এসোসিয়েশন ও সামিল হয়।
স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জ থেকে রেলশহর বদরপুরকে কেটে কাছাড়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার ফরমান জারি করেছে রাজ্য সরকার।
এরমধ্যে করিমগঞ্জের পাঁচটি বিধানসভা আসনকে চারটিতে কমিয়ে এনে ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এই খসড়া নিয়ে প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সাংবাদিক সংস্থাও।
জেলার ভৌগোলিক অবস্থানকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে অকল্পনীয় এবং অবাস্তব এই খসড়া প্রত্যাহারের দাবিতে সমস্ত বরাক জুড়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে উঠেছে।
করিমগঞ্জ প্রেস ক্লাব সহ বদরপুর প্রেস ক্লাব, পাথারকান্দি সাংবাদিক সংস্থা, রামকৃষ্ণনগর প্রেসক্লাব, বদরপুর প্রেস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই খসড়া প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করে জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনকে পুনর্বহালের জোরালো দাবি উত্থাপন করে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে পৃথক পৃথক দাবি সম্বলিত স্মারকপত্র পেশ করা হয়েছে।
করিমগঞ্জের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা হলে বৃহত্তর বরাক উপত্যকার মানুষ মহাফাফরে পড়বেন।
এই খসড়া প্রস্তাবটি সংবিধান বিরোধী এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী।
জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে করিমগঞ্জ জেলা সহ বরাক উপত্যকায় বিধানসভা আসন নূন্যতম কুড়িটি হওয়া উচিত, কিন্তু সেখানে বাস্তবকে অস্বীকার করে পনেরো থেকে কমিয়ে তেরোটি আসন করা হয়েছে।
তারা এই ডিলিমিটেশন খসড়াকে জনবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রেস ক্লাব, করিমগঞ্জের পক্ষে স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন সভাপতি মিহির দেবনাথ ও সম্পাদক অরূপ রায়।